নারীর সঙ্গে করম’র্দন না করায় মুস’লিমকে নাগরিকত্ব দিলো না !

নারী কর্মকর্তার সঙ্গে কর’ম’র্দন না করায় এক মুস’লিম চিকিৎসককে নাগরিকত্ব দেয়নি জার্মানি। ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, লেবাননের ৪০ বছর বয়সী এক মুস’লিম চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটেছে এ ঘটনা। এক নির্দেশনায় দেশটির আদা’লত বলেছেন, ওই চিকিৎসক ধ’র্মীয় বি’ধিনি’ষেধ মেনে না’রীদের সঙ্গে হাত মে’লাতে অ’স্বীকৃতি জানান।বিচা’রক বলেছেন, হাত মেলা’নোর একটি অর্থ রয়েছে। এটা কোনো সি’দ্ধান্ত নেয়ার ক্ষে’ত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

একে অ’পরের সঙ্গে হাত মে’লানো সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আ’ইনি জীবনে গ’ভীরভাবে তাৎপ’র্যপূর্ণ; যা আমাদের একসঙ্গে থাকার পথ তৈরি করে দেয়।ওই ব্যক্তি জার্মানিতে চিকিৎসাবিদ্যা পড়েছেন এবং একটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। তবে তার কিছু আ’চরণের কারণে এখনও নাগরিকত্ব পাননি।লেবাননের ওই চিকিৎসক শুরুতে দাবি করেন, নিজের স্ত্রীকে কথা দিয়েছেন অন্য কোনো না’রীর হাত স্প’র্শ করবেন না, তাই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মে’লানো তার পক্ষে সম্ভব নয়।কিন্তু পরে নাগরিকত্বের আবেদন পুনর্বি’বেচনার জন্য আপিল করার সময় আ’দালতে বলেন, আসলে কোনো পুরুষের সঙ্গেও তিনি হাত মে’লান না। কিন্তু আদা’লত বলেছে, কোনো পুরুষের সঙ্গেও হাত না মে’লানোর দা’বি আসলে একটা কৌ’শল।

আরও পড়ুনঃতাইওয়ানে অনুষ্ঠিত অষ্টম টিম-টোয়েন্টি (দি এইট টিম-টোয়েন্টি আর্কিটেকচার আরবান প্ল্যানিং কম্পিটিশন) স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের তালিকায় স্থান পান চুয়েটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্থাপত্য বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মাহজেরিন সুলতানা ঐশী এবং তাহজিবা তারান্নুম।গত জুনে অনলাইনে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় তাইওয়ান ও চীন ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের প্রায় ১৮৩টি প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়। এতে তাহজিবা তারান্নুমের প্রজেক্ট ষষ্ঠ এবং মাহজেরিন ঐশীর প্রজেক্ট সপ্তম স্থান অর্জন করে।

তাহজিবা তারান্নুমের প্রজেক্টটি ছিল দেশের পিছিয়ে পড়া রেশম শিল্প নিয়ে। রেশম চাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘একটি আদর্শ রেশম পল্লি নির্মাণ, বাংলায় রেশম চাষের উন্নয়নের লক্ষ্য’ শিরোনামের এ প্রকল্পটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন বাংলাদেশ রেশম চাষ উন্নয়ন বোর্ডের একটি গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র প্রকল্প। ত্রিপুরা উপজাতি গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত গৃহনির্মাণশৈলীকে প্রাধান্য দিয়ে এবং রেশম পোকার গুটি তৈরি থেকে সুতা আহরণ পর্যন্ত উৎপাদন স্থানগুলো স্থাপত্যের নিরিখে পরিকল্পনা করে শৃঙ্খলাবদ্ধ,

টেকসই ও সাশ্রয়ীভাবে এ রেশম শিল্প প্রকল্পের নির্মাণ।যাতে একটি সংস্কৃতিমনা উপজাতিকে উৎপাদনশীল শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করে তাদের স্বকীয়তা ও সামাজিক অবস্থান লাভ করে। অন্যদিকে, মাহজেরিন সুলতানার প্রজেক্টটি ছিল দিনাজপুরে একটি উন্নত কৃষিবিষয়ক গবেষণাগার এবং ট্রেনিং সেন্টারের পরিকল্পনা নিয়ে। বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা মহাস্থানগড়ের স্থাপত্যশৈলীকে অনুসরণ করে সাধারণ কৃষক ও গবেষকদের জন্য একটি মিলনায়তনের পরিকল্পনা করা হয় এ প্রজেক্টে।

এদিকে, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তাহজিবা তারান্নুম এবং মাহজেরিন সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুয়েটের এ সফলতা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয়প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম সাদিকুল ইসলামও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিজেদের এ সাফল্যে দুই শিক্ষার্থীই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। টিম-টোয়েন্টি একটি আন্তর্জাতিক স্থাপত্য শিক্ষা ও প্রতিযোগিতাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান। স্থাপত্য, নগর ও পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী স্নাতক প্রকল্পের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করাই টিম-টোয়েন্টির লক্ষ্য।