শুভেচ্ছায় সিক্ত শিক্ষিকা-ছাত্র দম্পতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের ৬ মাস পর কলেজছাত্রকে বিয়ে করেছেন এক কলেজ শিক্ষিকা। রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে এ ঘটনায় নিয়ে ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। ওই কলেজ শিক্ষিকার নাম খাইরুন নাহার (৪০) ও তার স্বামীর নাম মামুন (২২)। সব নেতিবাচক মন্তব্যকে পেছনে ফেলে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের বিয়ের গোপনীয়তা ভেঙে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

গতকাল সোমবার বর মামুন হোসেনের পৈত্রিক বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসেন খাইরুন নাহার। তাদেরে আসার খবরে এলাকায় বেশ আলাড়ন সৃষ্টি হয় এবং নবদম্পতির বন্ধু-স্বজনরা ফুল আর মিষ্টি নিয়ে হাজির হন মামুনদের বাড়ি। দিনভর শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তারা। স্বজন-বন্ধুদের শুভেচ্ছা পেয়ে অনেক খুশি এই দম্পতি।

মামুন হোসেন বলেন, ২০২১ সালের ২৪ জুন আমাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের ৬ মাস পর ১২ ডিসেম্বর আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের সম্পর্ক পরিবার সমাজ মেনে নিবে না ভেবে বিয়ের খবর প্রকাশ করা হয়নি। সপ্তাহখানেক আগে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে বিয়ের খবর প্রকাশ করি। তারপর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। এটা ভেবেই এখন পর্যন্ত আমরা সুখে আছি।

উল্লেখ্য, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। তবে সপ্তাহখানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।