তুচ্ছ কারণে রিকশাচালককে গুলি করে মারে আনোয়ার

পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি।গ্রেফতাররা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর সদরের শৈলপাড়া মহল্লার আনোয়ার উদ্দিন (৩৫), আকরাম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৬) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবুর ইসলাম সাকিব (১৭)।শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে

পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি রাতে ঈশ্বরদীর পশ্চিম টেংরি এলাকায় ভটভটি ও পিকআপের সংঘর্ষে পিকআপের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আনোয়ার উদ্দিনের শ্যালক সুজনের কথা কাটাকাটি হয়। সুজন ফোনে তার ভগ্নিপতি আনোয়ার উদ্দিনকে বিষয়টি জানালে

তিনি তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আনোয়ারের গুলিতে রিকশাচালক মামুনের মৃত্যু হয়।ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত তিন দিন অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া থেকে আনোয়ার উদ্দিন, পাকশী থেকে ইব্রাহিম ও রাজশাহীর চারঘাট থেকে সাকিবকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি।গ্রেফতার

আনোয়ারের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় চুরি, মাদক ও মারামারির চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার ইব্রাহিম মামুন হত্যায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি রাতে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে রিকশাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যা করেন আনোয়ার। এসময় আহত হন দুই জন।

এ ঘটনায় নিহতের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে।