ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিলেন চরমোনাই পীর

গণমানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে আগামী ৩ নভেম্বর (শুক্রবার) ঢাকার রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন।

দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেন, ঈঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীর মদদে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী পুরো বিশ্বে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে রেখেছে। আমেরিকার মদদেই দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, এটা বন্ধ করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না। আমাদের কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবি নিতে হবে। তাদের রাষ্ট্র যেন তারা ফেরত পায়, সেটা আমরা চাই।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মানবাধিকারের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। ফিলিস্তিনে মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সব বিবেকবান জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকরভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খুলনার রুপসা উপজেলার একটি একটি মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করে প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

চরমোনাই পীর বলেন, ফিলিস্তিনে অনবরত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, নারী ও শিশু সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ সেখানে কী অবস্থা? আমরা মানবাধিকারের কথা শুনি। অনেককিছু শুনি। আমাদের ফিলিস্তিনের জনগণ যে অমানবিক জীবনযাপন করছে, সেখানে হাসপাতালকে নিরাপদ মনে করে মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী এয়ার অ্যাটাক ও বোম্বিং করে নারী-শিশুকে হত্যা করে। একটা জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নিন্দার ভাষা নেই। হাসপাতালের মতো জায়গায় তা কী করে হামলা করতে পারলো? মানুষ হত্যা করতে পারলো?

মুফতী রেজাউল করীম আরও বলেন, নারী-শিশু, অন্তঃসত্ত্বা হত্যা করেছে। শিশুরা বড় হলে নাকি যোদ্ধা হয়ে যায়, তাই তাদের হত্যা। একজন মনুষ হিসেবে, প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। এই হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধ আমরা চাই না।পীর সাহেব চরমোনাই ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ যে কোনো মূল্যে সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।