জাকারিয়া-ফারহানার পরকীয়া নিয়ে তুলকালাম

জাকারিয়া-ফারহা’নার প’রকীয়া জন্ম দিলো অনেক ঘটনার। এ নিয়ে জকিগঞ্জ থানায় হয়েছে পাল্টাপাল্টি মা’মলা। কোম’রে লো’হার জিঞ্জির বাঁ’ধা অবস্থায় উ’দ্ধার প্রেমিকা ফারহা’না এখন কা’রাগারে। মা’মলার আ’সামি হলেন জাকারিয়াও। ঘটনাটি নিয়ে জকিগঞ্জে তোলপাড় চলছে। জকিগঞ্জের কামালপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া আহম’দ। আর একই গ্রামের প্রবাসী আতাবের স্ত্রী ফারহা’না বেগম। দু’জনের প’রকীয়া চলছিল বেশ ক’বছর ধরে।

আতাব সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ায় জাকারিয়া ও ফারহা’না প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা অবাধে মিলামেশা করতো। এসব ঘটনা জানতেন এলাকার মানুষও। গ্রামের সবার কাছে অনেক আগেই ধরা পড়ে তাদের সম্পর্কের বি’ষয়টি। ফারহা’নার দাবি ছিল, জাকারিয়া তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় মেলামেশার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যা’কমেইল করছিল। এ নিয়ে জাকারিয়াকে শত অনুরোধ করলেও সে ওই ভিডিও ডিলিট করেনি। বি’ষয়টি পুলিশকে অবগত করা হলেও জকিগঞ্জ থানা পুলিশ এতে গুরুত্ব দেয়নি। ঘটনা গত মঙ্গলবারের। ওই দিন প্রেমিক জাকারিয়া বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে তুলে। পাশের বাড়ি হচ্ছে ফারহা’নার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারাবির নামাজের সময় ফারহা’না নতুন বউ দেখতে জাকারিয়ার বাড়িতে আসেন। এ সময় বউকে দেখার পর ফারহা’নার সঙ্গে দেখা হয় জাকারিয়ার। এ সময় ফারহা’না জাকারিয়াকে অনুরোধ করেন তার কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজকে মুছে ফেলার। জাকারিয়া অনুরোধ মানেনি। উল্টো ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেয়ার হু’মকি দেয়। এ নিয়ে জাকারিয়া ও ফারহা’নার মধ্যে বিয়ে বাড়িতেই কথা কা’টাকাটি হয়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের নজরে আসে বি’ষয়টি। এগিয়ে আসেন জাকারিয়ার ফুফু সালেহা বেগম। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে সালেহা বেগম, জাকারিয়াসহ কয়েকজন মিলে ফারহা’নাকে লো’হার জিঞ্জির দিয়ে বেঁ’ধে ফে’লেন। তারা ফারহা’নাকে বে’ধড়ক মা’রধর করে। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উ’দ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে জাকারিয়ার ফুফু সালেহা বেগম বা’দী হয়ে ফারহা’নার বি’রুদ্ধে মা’রধরের অ’ভিযোগ এনে মা’মলা করেন।

এ মা’মলায় পুলিশ তাকে আ’দালতের মাধ্যমে কা’রাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ফারহা’না গ্রে’প্তারের পর জকিগঞ্জ থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। কারণ পুলিশ লো’হার জিঞ্জির দিয়ে বা’ধা অবস্থায় ফারহা’নাকে উ’দ্ধার করেছিল। তাকে মা’রধর করা হয়েছে। বা’ধা অবস্থায় উ’দ্ধারের সময় ফারহা’না জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানিয়েছিল যে, তাকে মা’রধর করে বেঁ’ধে রাখা হয়েছে। জাকারিয়ার কাছে রাখা ভিডিও ফুটেজ মুছে দেয়ার কথা বললেই তাকে মা’রধর করা হয়। কিন্তু পুলিশ ফারহা’নার বক্তব্য না শুনেই একতরফা মা’মলা রেকর্ড করে তাকে কা’রাগারে পাঠায় বলে জানান ফারহা’নার স্বজনরা। এদিকে স্ত্রীর এমন অবস্থায় ফারহা’নার স্বামী আপ্তাব উদ্দিন আতাব জানিয়েছেন, পরিবারের দুঃখ ঘুছাতে তিনি প্রায় ১০ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন।

ওই সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির জাকারিয়া আহম’দ তার বাড়িতে খরচ এনে দিতো। বিগত কয়েক বছর থেকে জাকারিয়া তার অগোচরে স্ত্রী ফারহা’নার সঙ্গে অ’নৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজের মোবাইলে বিভিন্ন আ’পত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে। তিনি দেশে এসে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে জাকারিয়ার প’রকীয়া সম্পর্কের বি’ষয়টি বুঝতে পেরে তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। তবুও সে মোবাইলে সম্পর্ক রেখে সময় সময় ধ”ণের চেষ্টা করে। ঘটনার দিন তিনি তারাবির নামাজ পড়তে বের হলে জাকারিয়া মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের হতে বললে তিনি বের হন। এ সময় সে জড়িয়ে ধরে ধ”ণের চেষ্টা করে। এ সময় স্ত্রী শোর-চি’ৎকার শুরু করলে পার্শ্ববর্তী জাকারিয়ার বাড়ির লোকজন এসে তার স্ত্রীকে ধরে বাড়িতে নিয়ে মা’রধর করে লো’হার শি’কল দিয়ে বারান্দায় বেঁ’ধে রাখে।

তিনি অ’ভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর নানা আ’পত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হু’মকি দিয়ে জাকারিয়া দীর্ঘদিন থেকে তার স্ত্রীর নিকট থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে জাকারিয়ার ফুফু সালমা বেগমের মা’মলা রেকর্ড করে। আর গত বৃহস্পতিবার রাতে ফারহা’নার স্বামী আপ্তাব উদ্দিন আতাব মিয়ার মা’মলা গ্রহণ করেছেন। এ মা’মলায় ফারহা’নার স্বামী আতাব মিয়া আ’সামি হিসেবে জাকারিয়া ও তার ফুফু সালমা বেগমসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সালেহা বেগম যে মা’মলা করেছিলেন সেখানে তিনি প’রকীয়া প্রেমের কারণে বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ, মা’রধর, ভা’ঙচুর ও ক্ষয়ক্ষ’তির অ’ভিযোগ করেন। জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কাসেম জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ফারহা’না বেগমকে শেকল থেকে ছাড়িয়ে থানায় নিয়ে আসে।

এরপরও ফারহা’নার বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ আসার কারণে তার বি’রুদ্ধে মা’মলা রেকর্ড করে গ্রে’প্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার দিন ফারহা’নাকে লো’হার জিঞ্জির দিয়ে বেঁ’ধে মা’রধরের ঘটনায়ও তার স্বামী বা’দী হয়ে আরেকটি মা’মলা করেছেন। সেই মা’মলায় জাকারিয়াসহ ৯ জনকে আ’সামি করা হয়েছি। তিনি বলেন, যখন বিবদমান পক্ষ যে অ’ভিযোগ নিয়ে এসেছেন সেটি মা’মলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে পুলিশ কোনো পক্ষপাতিত্ব করেনি বরং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে।