চাকায় আটকে আছে জেনেও তরুণীকে কয়েক কি.মি টেনে হিচড়ে নিয়ে গেলো!

গাড়ির চাকায় কেউ আটকে আছে তা জেনেও গাড়ি থামাননি যুবকরা। তরুণীকে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছেন কয়েক কিলোমিটার। দিল্লির রাস্তায় তরুণী অঞ্জলি সিংহকে গাড়িচাপা দিয়ে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের কাছে ‘দোষ’ স্বীকার করে নিলেন অভিযুক্তরা।খবর আনন্দ বাজার।

কেন তরুণীর কথা জেনেও গাড়ি থামালেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আমরা জানতাম গাড়ি থামিয়ে অঞ্জলিকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে। তা এড়াতেই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। যত ক্ষণ না চাকায় আটকে থাকা দেহ ছিটকে পড়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ গাড়ি থামায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশের কাছে অভিযুক্তেরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা বুঝতে পারেননি গাড়ির চাকায় কেউ আটকে রয়েছেন। গাড়িতে তারস্বরে গান বাজছিল, তাই বাইরের কিছুই তাঁরা শুনতে পাননি বলে দাবি করেছিলেন। পরে পুলিশের জেরার মুখে বয়ান বদল হল।

এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে দীপক খন্না, অমিত খন্না, মনোজ মিত্তল, মিঠুন, কৃষ্ণ, আশুতোষ এবং অমিতকে। তাঁরা ১ জানুয়ারির দিন ঘাতক গাড়িটিতে ছিলেন। দিল্লির সুলতানপুরীতে অঞ্জলিকে ধাক্কা মারার পর তাঁর দেহ হিঁচড়ে নিয়ে যান অমিতরা। একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে, রোহিণীর কাছে গাড়ি বদলে অটোতে চেপে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা।

ঘটনার দিন অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী নিধি। তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা মারে অমিতদের গাড়ি। ছিটকে পড়ে যান অঞ্জলি। তার পরেই তাঁর দেহ আটকে যায় গাড়িটির চাকার সঙ্গে। চাকায় কেউ আটকে গিয়েছে জেনেও প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর বুকে এমন ঘটনার বীভৎসতা দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।