আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও একই সিলেবাসে

একই রকম ‘কাস্টমাইজড’ সিলেবাসে নেওয়া হবে এবার ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং দাখিল-আলিম পরীক্ষা। তবে এবারের এ চারটি পরীক্ষা হবে আংশিক নম্বরে আর আগামী বছর হবে পূর্ণ নম্বরে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিলেবাস এবং প্রশ্নের মানবণ্টন প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯ জুন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। আর আগস্টে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আছে।

আগামী বছরের পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি আর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। যদিও মহামারি পরিস্থিতির কারণে এ পরীক্ষা পেছানোর আলোচনা চলছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনার ছুটিতে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। এ কারণে চাহিদার নিরিখে নির্ধারিত সিলেবাস কেটে ছোট করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিষয় বিবেচনায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পাঠ কমেছে।

তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, সিলেবাস কমানোর ক্ষেত্রে তিনটি দিক বিবেচনায় রাখা হয়। এগুলো হচ্ছে-শিক্ষার্থী কত কর্মদিবস পাচ্ছে, ভবিষ্যতে লেখাপড়ার জন্য তার বিষয়ভিত্তিক কতটুকু জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন আর অতীতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কী পড়েছে তা বাদ দেওয়া। তাই কত শতাংশ কমেছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

জানা যায়, এসএসসি ও এইচএসসিতে দুবছরে স্বাভাবিক কর্মদিবস ৩৬৮ দিন। নিয়ম অনুযায়ী ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল একই বছরের ১ জুলাই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। পরে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সপ্তাহে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।

যদিও পরের ঢেউয়ে ফের দুই মাস বন্ধ ছিল। গত ২ মার্চ সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। এ কারণে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বহাল রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় সিলেবাস কমানোর ক্ষেত্রে এসএসসিতে ১৫০ কর্মদিবস বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এইচএসসিতে কর্মদিবস রাখা হয়েছে ১৮০ দিন। সিলেবাস সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গতবছরের মে ও জুন মাসে প্রকাশ করা হয়েছে। স্কুল ও কলেজ সংক্রান্ত লিঙ্কে প্রবেশ করলে সিলেবাস পাওয়া যাচ্ছে।