শিক্ষা জীবনে হয়নি সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেওয়া। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন এইচএসসি পাসের পরই। পরে অবশ্য শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট পরীক্ষায় ডিগ্রি পাস করেন।শিক্ষকতা থেকে অবসরে আছেন সেই ২০০৮ সাল থেকে। প্রায় এক যুগ পর এসে মাস্টার্স (এমবিএ) পাস করলেন। সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৫০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত এ শিক্ষকের নাম রওশন আলী (৭৩)। তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
রওশন আলী পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সুজানগর পৌর সদরের শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তিনি।বয়োবৃদ্ধ রওশন আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ১৯৪৮ সালে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সাংসারিক কারণেই তখন আর পড়াশোনা হয়নি।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
জীবিকার তাগিদে সুজানগরে শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতা শুরুর কয়েক বছর পর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ইচ্ছা থাকার পরও কর্মজীবনের ব্যস্ততা আর নানা সমস্যায়
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি। তিনি ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে যান।কিন্তু মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন না করতে পারার একটা বেদনা তার ভেতর থেকেই যায়। সিদ্ধান্ত নেন এমএ পাস করবেনই। সেই ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হন। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তিনি সিজিপিএ ৩.৫০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রওশন আলী জানান, তার দুই ছেলে। বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে পাবনার একটি কলেজে বাংলা বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। আর ছোট ছেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশায় রয়েছেন। এ বয়সে এসেও লেখাপড়া করে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে এমএ পাস করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার স্ত্রী, দুই ছেলে, নাতি-নাতনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।রওশন আলী বলেন, জীবনে সফল হতে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সাধনা আর জ্ঞান থাকলে সফল হওয়া যায়। শিক্ষা ব্যক্তিজীবনে সাফল্য আনার পাশাপাশি দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ৭৩ বছর পাড়ি দেওয়ার পরও তিনি বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নানা বিষয়ের সঙ্গে আরও পরিচিত হতে চান বলেও জানান।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
বাবার সমতুল্য শিক্ষক রওশন আলীর এমন সাফল্যে গর্বিত বলে জানান পাবনা কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদ রনি। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের রওশন আলীর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও কোর্স সমন্বয়কারী কামাল হোসেন জানান, এ বয়সে এসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করাটা শুধু অনুকরণীয় নয়, এটি আশ্চর্যেরও।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসেও তিনি কঠোর অধ্যবসায় করেছেন। এটি নতুন প্রজন্মের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)