স্ত্রী স’হবাসের বৈ’ধ প’ন্থা যা সকলের জানা দরকার

হযরত আব্বাছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআ’লা ইরশাদ করেন, তোমাদের স্ত্রী’গণ তোমা’র জন্য খামা’র বিশেষ। তোম’রা তোমাদের খামা’রের সন্নুখ অথবা পেছনে থেকে স’হবা’স কর।তবে পেছনে-পথে ও হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী’ স’হবা’স থেকে বিরত থাক। হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী’ -স’হবা’স করাও হারাম। আজকাল অনেক সর্বাবস্থায় গুহ্যদ্বার পায়খানার রাস্তা দিয়ে স’হবা’স করাও হারাম। আজকাল অনেক মু’সলমান এই জঘন্য আপরাধে লি’প্ত।এ থেকে সমপূর্ণ বিরত থাকা ও তওবা করা উচিত। হযরত খুযাই’মা ইবনে চাবেত (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন সত্য প্রকাশে আল্লাহ লজ্জাবোধ করেন না।

তোমা’র স্ত্রী’দের সাথে পেছন- পথে স’হবা’স করো না। আল্লাহ তাআ’লা কোন হক কথাই গো’পন করেন না। বরং তা প্রকাশ করে দেন। এ কাজটি এতই জঘন্য যে , একে মুখে উচ্চারণ করা এবং এ স’ম্পর্কে আলোচনা করাও ঠিক নয়। কিন্তু যেহেতু শরীয়তের হুকুম প্রকাশ করতে হবে। তাই হাদীন এর উপস্থাপন। স্ত্রী’দের সাথে পেছন- স’হবা’স করা জঘন্যতম অ’পরাধ। আবার এ কাজ সেখানে আপন স্ত্রী’র সাথেই করা হারাম, সেখানে পু’রুষ এবং বালকদের সাথে তো প্রশ্নই আসে না। এ কাজ আর জঘন্যতম ও নিন্দনীয় ।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- অ’ভিশপ্ত সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রী’র সাথে পেছন পথে স’হবা’স করে। বর্তমানে এক শ্রেণীর যুবক এই ঘৃণ্যতম কাজে লি’প্ত হয়ে পড়েছে। এরা দুনিয়া ও আখেরাত জাহানে অ’ভিশপ্ত। ডা’ক্তারী মতেও এ ধরনের কাজ মা’রাত্নক ক্ষ’তিকর। এতে পুরাষাঙ্গ ছোট হয়ে যায়। এ কাজে লি’প্ত ব্যক্তি অল্প দিনের মধ্যে ধবজভঙ্গ রো’গে আকান্ত হয়ে পড়ে।

পরিণামে অল্প দিনের মধ্যে সে পু’রুষত্ব হা’রিয়ে ফে’লে । পরবর্তীতে হালাল স্ত্রী’র সাথে মি’লনে অক্ষম হওয়ায় স্ত্রী’ তার যৌ’ন-চাহিদা মেটাতে অন্য পু’রুষের সাথে খা’রাপ কাজে লি’প্ত হয়। আল্লাহ আমাদেরকে এবং সকল করমণীকে এ কাজ থেকে হেফাজত করুন। যে ব্যক্তি তার স্ত্রী’র সাথে পেছন-রাস্তায় স’হবা’স করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। অর্থাৎ- এ ধরনের লোক আল্লাহর রহমত পাবেনা।হযরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন , যে ব্যক্তি কোন পু’রুষ বা স্ত্রী’ সাথে পিছন-পথে স’হবা’স করে, আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। এ সকল লোক অ’ভিশপ্ত এবং আল্লাহর রহমত পাবে না। আল্লাহর না তাকানো ব্যাখাটি একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা বোঝানো যেতে পারে । এক ব্যক্তির শএু-মিএ সকল ধরনের লোকের সাথে পরিচয় থাকে।

কিন্তু ব্যবহার ও আচরণের ক্ষেত্র শএু-মিএ, সম্মানিত-অস্মানিত বন্ধু-অবন্ধু, আত্নীয়- অনাত্নীয়, সকলের সাথে সমান আচরণ ও ব্যবহার করা হয় না। বিশেষত শএুতা যদি চ’রম আকাড় ধারন করে ।যেমন তাকে সালাম করবে না এবং তাকে ভাল মন্দ কিছুই জিগানো হবে না ও তার সাথে কথা বলবেন না। ঠিক তেমনি আল্লাহ যখন পূর্বাপর সকল মানুষকে একতে করবেন তখন তার বন্ধুদেরকে সম্মান এর সাথে গ্রহণ করবেন এবং দেখা করবেন।

অ’তি যত্নের সাথে চিরস্থায়ী জান্নাত দিবেন।পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর নাফরমান ও পাপী বান্দা এবং পু’রুষের সাথে অ’পকর্ম লি’প্ত এবং ম’হিলাদেরকে পেছনে- পথে স’হবা’স করেছেন তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেবেন না, আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন না ও জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন না ।কারন এরা ছিল আল্লাহর অবা’ধ্য। এ ধরনে লোক দুনিয়াতে একদিন অবশ্যই অ’পদস্থ হবে। কোন স্বামী এমন কাজের কথা বললে , স্ত্রী’দের উচিত বা’ধা দেয়া এবং এ ব্যাপারে স্বামীর কথা অমান্য করা। কেননা এটা হারাম।