যে ৭ ধরনের পুরুষকে “না” বলতে পারে না মেয়েরা!

আজকের আধুনিকারা কেমন পুরুষের সান্নিধ্য পছন্দ করেন? কেমন পুরুষের স’ঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তাঁরা? নানা মুনির নানা মত। তবে সাত ধ’রনের পুরুষ রয়েছে যাদের সান্নিধ্যে এলে সমীক্ষা বলে বেশির ভাগ মেয়েই তাদের সঙ্গ ভালোবাসেন। এরা হলেন…১. বুদ্ধিদীপ্ত পুরুষের সান্নিধ্য যে কোনও মেয়েই পছন্দ করেন। এমন পুরুষ যাঁর স’ঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলা যায়, অথবা যিনি সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনেন। তাঁর সূক্ষ সেন্স অফ হিউমা’র মেয়েদের মুখে হাসি নিয়ে আসে। রাজনীতি যতই অসহ্য লাগুক না কেন, এমন পুরুষ যদি আপনার স’ঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন, তা ওমর খৈয়ামের কাব্যের মতোই লাগে! ঘন্টার পর ঘন্টা এই নিয়ে আলোচনা করলেও একঘেয়ে লাগে না। যে কোনও স’ম্পর্ক দীর্ঘদিন সুন্দর রাখতে হলে উপর মহল খালি হলে চলবে না। মানেটা হল, পছন্দের নারীর স’ঙ্গে যদি ইন্টেলেকচুয়াল কানেকশনটাই না তৈরি হয়, তাহলে কিসমত কানেকশনও স্থা’য়ী হবে না!

২. আত্মবিশ্বা’সী পুরুষের সান্নিধ্য উপভো’গ করেন নারীরা। যে পুরুষ নিজে’র ব্য’ক্তিত্ব এবং কাজ স’ম্পর্কে আত্মবিশ্বা’সী নন তাঁদের স’ঙ্গে বেশিদিন কোনও স’ম্পর্কে থাকতে পছন্দ করেন না কোনও নারী। আচ্ছা বলুন তো, কোন মেয়ে এমন পুরুষ পছন্দ করবেন যিনি তাঁর পুরুষ ব’ন্ধু বা কলিগদের সব সময় সন্দে’হের চোখে দেখেন। আ’সলে এই সন্দে’হ তখনই মাথায় বাসা বাঁধে যখন একজন পুরুষ তাঁর ব্য’ক্তিত্ব স’ম্পর্কে আত্মবিশ্বা’সী হন না।

৩. যে পুরুষের মধ্যে শিল্পীসত্তা আছে, তিনি অনায়াসেই মহিলাদের পছন্দের হয়ে ওঠেন। আপনার পছন্দের পুরুষটি যদি আপনার জন্যে নিজে হাতে একটি ছবি এঁকে আপনাকে উপহার দেন, অথবা যেদিন আপনার মুড একেবারে তলানিতে সেদিন সুন্দর একটি গান গেয়ে আপনার মন মেজাজ ভালো করার চেষ্টা করেন, সেই পুরুষ প্রেফারেন্স পাবেন না? আলবত পাবেন। কারণ তিনি তাঁর সঙ্গীর প্রতিটি মু’হূর্তকে নিমেষেই ‘স্পেশাল’ করে তুলতে পারেন।

৪. ভিনদেশি তারা-দের প্রতি মেয়েদের টান একটু বেশিই হয়। এই কথা শুনে কেউ কেউ হয়তো প্রতিবাদ ক’রতে পারেন, তবে একবার ভেবে দেখু’ন তো, একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক কথা বললাম কি? চেনা-পরিচিতদের গণ্ডির বাইরে এমন কোনও পুরুষ যদি সামনে আসেন, যাঁর কথা বলার ধ’রন, যাঁর চলাফেরা একটু আলা’দা, তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হওয়াটা কি খুব অস্বা’ভাবিক! আরে বাবা অচেনা, অজা’নার প্রতি তো সেই সৃষ্টির সময় থেকেই আ’ক’র্ষণ প্রবল।

৫. দ্য এজ অফ শিভালরি ইজ নট ইয়েট ডেড। এমনটা বলে যদি কোনও পুরুষ আপনার জন্যে গাড়ির দরজা খু’লে দেন অথবা রেস্তরাঁয় বসার সময়ে আপনার জন্যে চেয়ার রেডি করে দেন কিম্বা রাতে ডিনারের পর বাড়ি পর্যন্ত ড্রপ করে যান, তাহলে স্বভাবিকভাবেই মেয়েদের কাছে তিনি একটু বেশিই প্রাধান্য পাবেন। না, এখানে নারীবাদী হয়ে ওঠার কোনও প্রয়োজনই নেই। এমন ব্যবহার কিন্তু দায়িত্ববান পুরুষেরই লক্ষণ।

৬. রোম্যান্সের শেষ কথা ইনি। যেমন তেমন রোম্যান্স নয়, একেবারে সনাতনী রোম্যান্সে বিশ্বা’সী ইনি। লেডি লাভকে ফুল, চকোলেট কিম্বা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার উপহার দিতেই ইনি সব থেকে বেশি ভালোবাসেন। এখানেই শেষ নয়। কাজে’র ফাঁকেও ইনি সময় বের করে ফোন করেন শুধু এইটুকু বলতে যে এত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর লেডি লাভকে মিস করছেন। এঁর সামনে এলে তিনি নিমেষে পড়ে ফেলতে পারেন চোখের ভাষা। না, তা বলে গোয়েন্দা ভেবে বসবেন না। আ’সলে এই ধ’রনের পুরুষ তাঁদের ভালোবাসার মানুষটিকে জীবনে সব থেকে বেশি গু’রুত্ব দেন।৭. বিন্দাস মেজাজে’র পুরুষদের প্রতিও মেয়েদের আ’ক’র্ষণ প্রায়ই দেখা যায়। তার একটাই কারণ, এমন পুরুষের স’ঙ্গে থাকলে জীবনের দু’শ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা থেকে অনেক দূ’রে থাকা যাবে। সঙ্গীকে ভালো মেজাজে রাখার জন্যে তাঁরা অফিস ছুটি নিয়ে চলে আসেন আচ’মকাই। কোনও প্ল্যান ছাড়াই নিয়ে বেরিয়ে পড়েন লং ড্রাইভে।