বিয়ের পণ হিসাবে বর যা চাইলো তা শুনে `চক্ষু চ’ড়’কগাছ` পাত্রীপক্ষের

গত শনিবার কনে রশ্মিরেখার সঙ্গে বিয়ে হয় সরোজের । আর পাঁচটা বিয়ের মতো এদিনের অনুষ্ঠানে ব্যান্ড পার্টি, চোখ ঝ’লসা’নো আতসবাজির ভেলকি হয়ত দেখা যায়নি । কিন্তু এই বিয়ে গোটা গ্রামবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত হয় রইল বলে মনে করছেন নিমন্ত্রিতরা ।

কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের এক বিয়েতে সব আমন্ত্রিতদের থেকে উপহার হিসাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই চেয়েছিলেন । সেইসব বই দিয়ে দরিদ্র ছাত্রদের জন্য একটা পাঠাগার তৈরির পরিকল্পনা করেছে ওই দম্পতি ।

ক্রমাগত পণ প্রথার ব’লি হওয়ার ঘটনায় জে’রবার এই সমাজে এমন দু’একটা অন্য রকম বিয়ের খবর সত্যিই আশা জাগায় । তবে শেষ পর্যন্ত তিনি পণ হিসাবে কি নিলেন দেখেনিন ।স্কুল শিক্ষকের ধনুক ভা’ঙা পণ, বিয়েতে পণ নেবেন না । কিন্তু পণ না দিয়ে ছাড়ার পাত্র নয় কন্যাপক্ষও । তাদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত হয়ত পণ না দেওয়ার জন্য মেয়েকে শ্বশুড়বাড়িতে গ’ঞ্জনা শুনতে হবে ।

কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক মশাই যে পণ নেবেন না বলে পণ করেছেন । ফলে পণের প্রস্তাবে আত্মমর্যাদায় আ’ঘাত লাগছে তাঁর । কিন্তু, কিছু তো একটা উপায় বের করতে হবে ।শেষ পর্যন্ত ভাবী শ্বশুড়ের মন রাখতে একটা ব্যতিক্রমী উপায় বার করলেন পাত্র । আর স্কুল শিক্ষকের এমন উপায় শুনে রীতিমতো অবাক সবাই !পণ যদি নিতেই হয়, তাহলে ১০০১টি চারা গাছ নেবেন, ভাবী শ্বশুড়ের কাছে সটান এমনটাই দাবি করেন ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার স্কুল শিক্ষক সরোজ কান্ত বিশ্বল । ছোটো থেকে গাছ ভালবাসেন তিনি । অরণ্যে ঘুড়ে বেড়ানো তাঁর নে’শা ।

সরোজ বলেন, “বরাবরই প’ণপ্রথার ঘোরতরো বি’রো’ধী আমি । তাই পণের বদলে তাদের কাছে ফলের গাছের ১০০১টি চারা দাবি করি ।”কিন্তু, মেয়ের বাড়ির লোক তো ভাবি জামাতার এমন আব্দার শুনে অবাক । তবে স্কুল শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তাঁরা সকলেই । সরোজের গ্রামেও মুখে মুখে ফিরছে তাঁর বিয়ের কথা ।