বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে মৌলভীদের ওয়াজ: জবি উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপা’চার্য অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন, ‘গ্রামে ওয়াজ টোয়াজ হতো সেইগুলোতে যেতাম। সবাই এসে বসতো। হুজুররা এসে কথা বলতো। ভালোই লাগতো, খা’রাপ না। মন টা নরম হতো যে, হুজুররা সুন্দর সুন্দর কথা বলে। এখন ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল গুলো ওয়ান কাইন্ড ওফ কনসার্ট।’আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।উপা’চার্য বলেন, ‘কনসার্ট হয় না, লাইভ, এডিটিং, টিভি, মোবাইল এবং ইউটিউব। হুজুররা সব গান গেয়ে ফেলতেছে। পল্লিগীতি, ভাওয়াইয়া গান থেকে শুরু করে সিনেমার গান। হুজুররা গাইতেছে, নাচতেছে, জিকির

করতেছে এবং তালেতালে নাচে। বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে মৌলভীদের ওয়াজ।’মীজানুর রহমান আরো বলেন, ‘সা’ম্প্রদায়িকতা মানে কেবল হিন্দু মু’সলিমের সা’ম্প্রদায়িকতা না। সুন্নিরা কি শিয়াদের মু’সলমান মনে করে। ইউটিউবে হুজুরদের ওয়াজ শুনে দেখবেন যে, উনি ছাড়া কেউ মু’সলমান না।

সবাই কাফের। যারা মোনাজাত করছে তারা কাফের। যারা ওয়াজ করছে তারা কাফের।’জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ১৫ তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় টিম ইসলামিক স্টাডিজ ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন এবং লোকপ্রশাসন বিভাগ রানার আপ হয়েছে।

আরও পড়ুন=আন্তর্জাতিক শিশু নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২০ এর চূড়ান্ত তালিকায় মনোনিত হয়েছে বাংলাদেশের শিশু বরগুনার সন্তান এম এ মুনঈম সাগর। আর মাত্র এক ধাপ বাকী। আগামী ১৩ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে ‘আন্তর্জাতিক শিশু নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্ত শিশুর নাম। সারাবিশ্ব থেকে ১৮৩টি দেশের ১৮৩ জন শিশুকে নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মনোনয়ন দিয়ে নাম পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন নিয়ে এম এ মুনঈম সাগর এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত ৪২ জনের তালিকায় নাম লিখিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন সাগর।