বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের দাবীতে এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার ভাগ্নের বাড়িতে অনশন করছে। শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে ভাগ্নে সাব্বির এর বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি।জানা যায়, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের লালদহ নয়াপাড়া গ্রামের মফিদুলের স্ত্রী জেসমিন একই গ্রামের সাদ্দামের ছেলে ভাগ্নে সাব্বির (২৩) এর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামী ও ভাগ্নে বিভিন্ন সময় পাত্রী দেখার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।
প্রেমের টানে মামীকে নিয়ে ভাগ্নে সাব্বির গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর ঢাকায় একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নিয়ে তারা রাত্রীযাপন করে।মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাব্বির এর পিতা সাদ্দাম তার ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তাদের সম্পর্ক মেনে নেবে বলে জানায় এবং বাড়িতে আসতে বলে।
এর প্রেক্ষিতে মামী ও ভাগ্নে বাড়ীতে আসলে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ এর সহায়তায় পৌরসভায় একটি সমঝোতা বৈঠক বসে। এবং তাদের বাবা দুজন দুজনার জিম্মায় নিয়ে যায়। মেয়ের স্বামী মফিদুল তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়।পরবর্তীতে মামী
জেসমিনকে সাব্বির মুঠোফোনে বলে, আমি তোমাকে নিয়ে ঘর সংসার বাঁধবো তুমি আমার বাড়ীতে এসো। এর প্রেক্ষিতে মামী জেসমিন শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাব্বিরের বাড়িতে চলে আসে।
এ বিষয়ে জেসমিন জানান, আমি সাব্বিরকে ছাড়া বাঁচবো না তার সঙ্গে আমার বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিবো। আমি ঢাকায় যাওয়ার সময় সাব্বিরকে ১ ভরী স্বর্ণালংকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি।লালদহ গ্রামের ইলিয়াছ বলেন, মামী জেসমিন এর সাথে ভাগিনা সাব্বিরের বিবাহের প্রস্তুতি চলছে। কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তবে মেয়ের পরিবার মেয়েকে তাদের জিম্মায় চাওয়ায় আমি নিয়ে যেতে বলেছি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী বলেন, স্বামী মফিদুল ট্রাক ড্রাইভার হওয়ার কারণে বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাগ্নে ও তার মামীর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিপূর্বে একদিন অসামাজিক কার্যকলাপ করার সময় ধরাও খেয়েছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামী-ভাগ্নের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।