নববধূর শরীরের গোপন চিহ্ন স্বামীকে জানাল প্রেমিক

চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রেম। এরপর বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধ’র্ষ’ণ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রাণনাশের হু’মকি। এরপর পরিবারের পছন্দে ধ’র্ষ’ণের শিকার তরুণীর অন্যত্র বিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু ঝামেলা করলো ধ’র্ষ’ক বকুল মিয়া। ওই তরুণীর স্বামীকে বলে দিলো ধ’র্ষ’ণের কথা। বিয়ের ১৩ দিন পরই নববধূকে তালাক দেন বর।

ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুরের। এ ঘটনায় বকুল মিয়ার বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছেন ধ’র্ষ’ণের শি’কার কিশোরী। প্রায় এক মাস পর আ’সামিকে গ্রে’ফতার করেছে র‌্যাব। গ্রে’ফতার বকুল মিয়া একই উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক ফজলুর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নান্দাইল থানায় স্থানান্তর করেছে র‌্যাব-১৪।

মা’মলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বকুল মিয়া। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধ’র্ষ’ণ করে। এসবের মধ্যেই অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় ওই তরুণীর। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক বকুল। বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে বিয়ে বন্ধ করতে পারেনি। বিয়ের ১৩ দিন পর ওই তরুণীর স্বামীকে স্থানীয় বাজারে দেখতে পায় বকুল।

পরে তাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে জানায়- বকুল মিয়া তার স্ত্রীকে ধ’র্ষ’ণ করেছে। এর প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এ ঘটনায় সংসার ভাঙার উপক্রম হলে দুই পক্ষ সালিস ডাকে। সালিসে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। তালাকের পর ১৬ অক্টোবর বকুল মিয়ার বি’রুদ্ধে নান্দাইল থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধ’র্ষ’ণ ও সংসার ভাঙার অভিযোগে মা’মলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।

মা’মলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে ধ’র্ষ’ক বকুল মিয়াকে গ্রে’ফতার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার তাকে নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বকুল মিয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।