প্রবাসীর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও স্ত্রী

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রবাস থেকে পাঠানো স্বামীর ক’ষ্টার্জিত গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধ’রে আরিধা ই’সলাম (২০) নামে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীর পলায়নের ঘ’টনা ঘ’টেছে।গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে উপজে’লার টেংগুড়িয়া পাড়া গ্রামের মামা বদু মিয়া ওরফে বদু মেম্বারের বাড়ীর সামনে থেকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর পলায়নের এ ঘ’টনা ঘ’টে।সে শ্রীনগর উপজে’লার ষোলঘর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে এবং প্রশ্চিম মধ্যপাড়া গ্রামের বাদশা বেপারীর ছেলে দুবাই প্রবাসী মিলন বেপারীর স্ত্রী। পরকীয়া প্রেমিক বড় পাউলদিয়া গ্রামের জাকির শেখের ছেলে সায়েদুর রহমান ওরফে শুভ (২৫)।

এ ঘ’টনায় গত শুক্রবার দুবাই প্রবাসীর মাতা কহিনুর বেগম পরকীয়া প্রেমিক এবং ছেলের বৌ ও তার মামা সোহরাব মিয়াসহ ৫ জনকে বিবাদী করে সিরাজদিখান থা’নায় একটি লিখিত অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন। লিখিত অ’ভিযোগের প্রেক্ষিতে পু’লিশ ঘ’টনাস্থল পরিদ’র্শন করে।লিখিত অ’ভিযোগে বলা হয়, অনুমান ২ বছর আগে ই’সলামী সরিয়ত মোতাবেক প্রবাসী মিলন বেপারীর সাথে আরিধা ই’সলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই মিলন বেপারী দুবাই চলে যায়। অনুমান ৬ মাস আগে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ছেলে বৌ আরিধা ই’সলাম তার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যায়।

কিছুদিন পর মিলন বেপারীর পরিবারের লোকজন তার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ী পাঠালে আরিধা স্বামীর বাড়ীতে যেতে অনীহা প্রকাশ করে তার বাবার বাড়ীতেই থেকে যায়। পরে মিলন বেপারীর পরিবারের লোকজন জানতে পারে তার স্ত্রী অন্য এক ছেলে সাথে পলায়ন করেছে।এদিকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ভাগনি আরিধা ই’সলামের পলায়নের ঘ’টনা ধা’মাচাপা দিতে মামা সোহরাব হোসেন গত ২৮ সেপ্টেম্বরে আরিধার মামা সোহরাব হোসেন ভাগনির পরকীয়া প্রেমিক সায়েদুর রহমান ওরফে শুভসহ ৮ জনকে বিবাদী করে তাদের বি’রুদ্ধে অ’পহ’রনের অ’ভিযোগ এনে সিরাজদিখান থা’নায় একটি লিখিত অ’ভিযোগ করেন।

লিখিত অ’ভিযোগের প্রেক্ষিতে থা’না পু’লিশ ঘ’টনাস্থল পরিদ’র্শন করে। অপরদিকে ভাগনির পরকীয়া প্রেমিক ও তার বন্ধুবান্ধবদের বি’রুদ্ধে অ’পহর’নের অ’ভিযোগ করার পর গোপনে ভাগনি আরিধাকে প্রেমিকসহ উ’দ্ধার করে তাদের হেফাজতে রেখে পলায়নের বিষয়টি মি’মাংসা করা হয়েছে মর্মে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়।ভু’ক্তভো’গীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর মিলন বেপারীর দুবাই চলে যায়। বিদেশে থাকাবস্থায় মিলন তার ক’ষ্টার্জিত সব টাকা সে তার স্ত্রী আরিধার কাছে পাঠায়। স্ত্রীর মন র’ক্ষার্থে ২০১৯ সালের ১৮ই মার্চ মোটা টাকা খরচ করে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে স্ত্রী আরিধা ই’সলামকে দুবাই ঘুরতে নেয় স্বামী মিলন বেপারী।

পরে ভিসার মেয়াদ শে’ষ হয়ে যাওয়ায় আরিধা দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসে। এর আগে স্বামীর অবর্তমানে আরিধা তার মামার বাড়ী টেংগুরিয়া পাড়া গ্রামে আসা যাওয়ার সুবাদে পার্শ্ববর্তী বড় পাউলদিয়া গ্রামের সায়েদুর রহমান ওরফে শুভর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।সে থেকে তাদের মধ্যে কথপোকথন সহ বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে দেখা সাক্ষাৎ ও অ’বৈধ মেলামেশার মাধ্যমে সম্পর্ক গভীরে গিয়ে পৌঁছালে লা’জ ল’জ্জার মাথা খেয়ে মানস’ম্মানের পরোয়া না করে বিবাহিত স্বামীর রোদে পোড়া আর ঘাম ঝড়ানো টাকা আর স্বর্ণালংকার নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়ে টাকা আর স্বর্ণালংকার হজমের সমাপ্তি ঘ’টায়।

অঢেল অর্থ সম্পদ ও বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে প্রবাসী স্বামীর ক’ষ্টার্জিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অন্য ছেলে সাথে পলায়ন করাই কি ছিল আরিধা মনের বাসনা! এমনটাই প্রশ্ন মিলন ও তার পরিবারের। আরিধা তার মামা সোহরাব ও বদু মিয়া ওরফে বদু মেম্বারের সহযোগীতায় তাদের বাড়ী থেকেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে বলে মিলন বেপারীর পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের কাছে মৌখিক অ’ভিযোগ করেন।অন্যদিকে স্ত্রী আরিধা পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালানোর পর স্বামী মিলন বেপারীকে দিভোর্স দেওয়ার কথাও স্থানীয় লোকজনের মূখে শোনা যাচ্ছে। তবে ডিভোর্সের কোন লিখিত কাগজপত্র ভু’ক্তভো’গী পরিবারের লোকজন এখনো হাতে পায়নি।

ভু’ক্তভো’গী মিলন বেপারী মাতা কহিনুর বেগম বলেন, আমি কয়েকবার আরিধাকে আনতে তাদের বাড়ীতে গিয়েছিলাম। তখন আরিধা শ্বশুর বাড়ি যাবে না বলে জানান। পরে জানতে পারলাম তার একটি বখাটে ছেলের সাথে বিয়ের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার মামা বদিউজ্জামান বদু মেম্বারের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ওই ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের জীবন টা শে’ষ করে দিল। আমাদের টাকা পয়সা ও স্বর্ন গয়না নিয়ে ওই ছেলের সাথে পালিয়েছে।আমাদের আর মান-স’ম্মানের কিছু রইলো না। মেয়ের মামা সাবেক ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বদু জানান, ঘ’টনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। আরিধা আমার ভাগ্নি ছিলো কিন্তু আমি এখন তার পরিচয় দেই না। এই ঘ’টনার পরে বোনকে আমার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। তাদের বিষয় তারা জানেন।