গাজীপুরে রাস্তার বেহাল দশা, সীমাহীন দুর্ভোগে যাত্রীসাধারণ

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় গত ৩ বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীসাধারণ ও এলাকাবাসী। অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার কাজের ধীরগতির কারণে ক্রমেই আরো খারাপ হচ্ছে রাস্তার অবস্থা, যান চলাচলে দেখা দিচ্ছে স্থবিরতা। এই রাস্তার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে গাজীপুরের মেয়র বলেন, প্রকল্প পরিচালকের উদাসীনতায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে দুর্ভোগ। তবে এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ প্রকল্প পরিচালক। গাজীপুর চৌরাস্তায় রাতদিন এমনই চাপ থাকে যানবাহনের। প্রতিদিন এই চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করেন উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে গন্তব্যস্থল ঢাকা যখন একেবারেই হাতের নাগালে তখনই যাত্রীদের মুখোমুখি হতে হয় দুর্ভোগের।

যাত্রীরা বলেন, ‘এত খারাপ রাস্তা, ময়মনসিংহ থেকে যখন গাজীপুর চৌরাস্তা আসি এর চেয়ে ডাবল সময় লাগে আমাদের ঢাকা পৌঁছাতে। বৃষ্টি হলে রাস্তা ভাঙ্গা, বড় গাড়ি যেতে পারে না, ছোট গাড়িও যেতে পারে না।’একইসাথে এই রাস্তায় চলছে সম্প্রসারণ, সংস্কার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। কোথাও

রাস্তার মাঝখানে আবার কোথাও দুইপাশের বিস্তর অংশ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। এতে পথ সরু হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে দেখা দিচ্ছে স্থবিরতা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। মাত্র ১৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুঘণ্টা।

গাড়িচালকরা বলেন, ‘এই ভাঙা রাস্তায় অটো, লেগুনা, সিএনজি রাখা থাকে তাই আমরা যেতে পারি না। একসপ্তাহ ধরে রাস্তা চিপা হয়ে গেছে। দুই সাইড কেটে রাস্তার কাজ করছে। যেখানে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে সেখানে লাগে ৪ ঘণ্টা বা ৫ ঘণ্টা।’উত্তরা এয়ারপোর্ট থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। কাজ শুরুর পর এ রাস্তার টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ধুলাবালির দাপট আর খানাখন্দে শুধু যাত্রীসাধারণ কিংবা যানবাহনের স্টাফ নয়, দুপাশে বসবাসরত মানুষও রীতিমতো অতিষ্ঠ।

সাধারণ জনগণ বলেন, ‘প্রচুর ধুলা ময়লা নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না এমন পরিস্থিতি। ধুলাবালিতে আশেপাশের যাদের বাসা আছে তারা কিন্তু থাকতে পারতেছে না। রাস্তার ভাঙার জন্য গাড়ি ভেঙে যায়, গাড়ি ঠিক থাকে না।’এ রাস্তার বেহাল দশায় অসন্তুষ্ট গাজীপুর সিটি মেয়র। বার বার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনা যায়নি বলে অভিযোগ তার।গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রজেক্টের যে ডিজাইন করেছে তাদের একটি ভুল আছে, এবং তাদের যে পিডি আছে তারা কন্ট্রাকটরদের চাপ দিয়ে কাজটা করায়নি। তিন বছর হয়ে গেছে কিন্তু তারা রাস্তার এক কিলো সমাপ্ত করেনি।’এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংশ্লিষ্ট কাজের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি হননি