আমি যীশু কে খুঁজতে গিয়ে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে খুঁজে পেয়েছি: ব্রিটিশ সাংবাদিক লরেন

লন্ডনের প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক ধর্মান্তরিত মুসলিম লরেন বুথ। তিনি ২০১০ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার আত্মজীবনী ভিত্তিক বই ‘ফাইন্ডিং পিস ইন দ্য হলি ল্যান্ড’ এ তিনি তার জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন এবং তার উত্তর ও দিয়েছেন।এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি যিশুর উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলিনি বরং ফিলিস্তিন সফরের সময় তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে” । তিনি আরো বলেন, “আমি সেখানে যীশুকে খুঁজতে গিয়েছি কিন্তু মানুষের আচরণের মধ্যে আমি মোহাম্মদ সঃ কে খুজে পেয়েছি।আমি সেখানে এমন এক সত্তা খুঁজে পেয়েছি যা এর আগে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। আমি মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে জানতাম না। কারা আরব ভূমিগুলো দখল করে আছে সে সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। আমি আরবদের সম্পর্কে ভীত ছিলাম।”ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করতে চাওয়ার কথা জানান লরেন বুথ , যার মাধ্যমে তাদের বার্তা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছায়। তিনি আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় মানুষের চরম সমস্যার জীবনযাপন সম্পূর্ণভাবে ইসরাইল কর্তৃক কৃত্রিমভাবে তৈরি।

যা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ। ২০১৮ সালের রমজান মাসে গাজা সফরের সময় তিনি সেখানে এক অনাবিল শান্তি অনুভব করেন বলে জানান । সে সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি” এটি বিশ্বাস হয় তবে আমি তাতে প্রবেশ করতে চাই”।১৯৯৭ সালে থেকে সাংবাদিকতা করে আসা লরেন বুথ। সংবাদ সংস্থা সিএনএন, আলজাজিরা, ডেইলিমেইল সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যমে লেখালেখি করেন।শীতে জবুথবু লাদাখ। তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। বরফের পুরু চাদরে ঢাকছে লাদাখের মাটি। এমন আবহে ভারত আশঙ্কা করছে, পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রপথে হামলা চালাতে পারে চীন।সে কথা মাথায় রেখেই এবার সাগরপথে রণসজ্জা বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী, বিশেষ অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনী তৈরির পথে হাঁটছে ভারতীয় নৌবাহিনী।১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখে রণসজ্জা কয়েকগুণ বেড়েছে। বাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্কার- সবই মজুত করা হয়েছে। কিন্তু শীতকালে তো পরিস্থিতি অন্য। লাদাখের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নিচে। ঘনঘন তুষারপাত হচ্ছে।

এমন আবহে পাহাড়ি পথে চীনের হামলা চালানো বেশ কঠিন। তাই তারা সমুদ্রপথে ভারতকে নিশানা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে চীনের দোসর হতে পারে পাকিস্তানও।সে কথা মাথায় রেখেই আরো একটা অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেড (Amphibious Brigade) তৈরি ভাবনা চিন্তা করছে ভারতের নৌবাহিনী। বর্তমানে ভারতের অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেডর জওয়ানরা তিরুবন্তপুরম, আন্দামান-নিকোবরের বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মোতায়েন রয়েছে।কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনীর আরো একটি ব্রিগেড তৈরির তৎপরতা চলছে। যাদের তিরুবন্তপুরম এবং বিশাখাপত্তনমে মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, এই বাহিনী সমুদ্রপথে কাউন্টার অ্যাটাক চালাতে পারদর্শী।ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের যোগাযোগের তিনটি রাস্তাতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট রয়েছে। মালাক্কা প্রণালী, সুন্দা প্রণালী, সুয়েজ খাল এলাকায় কোনো হামলা হলে পাল্টা জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় নৌবাহিনী।তাদের যুদ্ধবিমানগুলোতে রয়েছে ব্রাহ্মোস মিসাইল। যা যেকোনো চলমান টার্গেটে হামলা চালাতে প্রস্তুত। রয়েছে অ্যান্টি সাবমেরিন ট্যাঙ্কও। এমন আবহে আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ভারত-আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ায় নৌমহড়া।

মঙ্গলবার থেকে ভারত, আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ও আরব সাগরে নৌ মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে। অর্থাৎ পুরো ‘কোয়াড’ বা ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ’—এর অংশ গ্রহণ হবে এই মহড়ায়।উল্লেখ্য, ২০০৭-এ এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়া অংশ নিয়েছিল। সে বছর অংশ নেয় সিঙ্গাপুরও। কিন্তু তাতে ক্ষুব্ধ হয় চিন। তাদের ক্ষোভকে মর্যাদা দিয়ে ভারত এই মহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে অংশ নিতে দিত না। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াও চীন অখুশি হবে এ রকম কোনো কাজ করত না। কিন্তু লাদাখের ঘটনা পুরো ছবিটাই বদলে দিয়েছে।মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনে চীনা দূতাবাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সহযোগিতা: অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মধ্যে মিয়ানমার হয়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগের জন্য ঢাকার চীনা দূতাবাসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেছি।’বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমাদের অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে।’

২০১৩ সালে প্রস্তাবিত সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট ও একবিংশ শতাব্দীর মেরিটাইম সিল্ক রোডের (বিআরআই) লক্ষ্য ছিল প্রাচীন সিল্ক রুট ধরে এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপ ও আফ্রিকার বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত নেটওয়ার্ক তৈরি করা।চীনের ‘ঋণের ফাঁদে’ আটকে যাওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের মোট বৈশ্বিক ঋণের একটি ক্ষুদ্র অংশই দিয়েছে।’চীনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সমৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর হবে।’ওয়েবিনারে চীন ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষের বক্তারা দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উচ্চ প্রযুক্তি যেমন ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ, উচ্চ গতিসম্পন্ন রেলপথ, মহাকাশ ও সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সহযোগিতার বিষয়ে আশাবাদ জানান।ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়াতে শার্লি হেবদোর মতো ধর্ম, রাজনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্রুপকারী কোনও পত্রিকা প্রকাশের সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্বাসীদের অনুভূতিতে আঘাত ও এর বিপরীতে হত্যাকাণ্ড; দুই-ই অগ্রহণযোগ্য।

সম্প্রতি ফ্রান্সে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক এক ক্লাসে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখানোর কারণে শিক্ষককে হত্যার ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘মৌলবাদী ইসলাম’-এর বিপরীতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন।‘ ফ্রান্স ব্যঙ্গচিত্র দেখানো বন্ধ করবে না’ বলেও জানান তিনি। এই উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে ছুরি হাতে এক ব্যক্তি নিস শহরের নটর ডেম বাসিলিয়াতে হামলা চালায়। এতে নারীসহ তিন জন নিহত হয়।এমন প্রেক্ষাপটে পুতিনের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্বাসীদের অনুভূতিকে অপমান করা অগ্রহণযোগ্য এবং একইভাবে মানুষ হত্যাও অগ্রহণযোগ্য। উভয়ই সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য’।

দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ায় শার্লি হেবদোর মতো পত্রিকা প্রকাশ ‘একেবারেই অসম্ভব’। ‘এর কারণ রাশিয়ায় মুসলিমরাও আছেন, সংখ্যায় প্রায় ২ কোটি। এখানে খ্রিস্টধর্মই প্রধান। তবে বেশিরভাগ নাগরিক খ্রিস্টধর্মের অনুসারী হলেও বহুত্ববাদ ও আন্ত-ধর্মীয় সমন্বয়ের কারণে আমাদের দেশটি অনন্য’। বলেন তিনি। সূত্র: মস্কো টাইমদ্বিতীয় দফার লকডাউনের আগে প্যারিস ছাড়লেন বহু মানুষ, তৈরি হল ৭০০ কিমি লম্বা জ্যামবর্তমানে ফ্রান্সে দৈনিক গড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ৫০,০০০ মানুষ। দেশে করোনা সংক্রমণ প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্য়াঁকর।গত শুক্রবার থেকে জারি হয়েছে ওই লকডাউন। চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার আগেই প্যারিস ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষজন। আর তাতেই রাস্তায় তৈরি হয়ে লম্বা জ্যাম। বৃহস্পতিবার কোনও কোনও জায়গায় তার দৈর্ঘ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কিলোমিটার প্রর্যন্ত।সোমবার, প্য়ারিসের একাধিক জায়গায় ছিল উইকএন্ডের চেহারা। অনেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাইরে বের হওয়ার অনুমতি জোগাড় করতে। পাশাপাশি মুদি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে ভিড় করেন সাধারণ মানুষজন।

ফরাসি সরকার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে, বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। বাড়িতে বাইরের কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না। দিনে এক ঘণ্টার মধ্যে বাইরে বের হওয়া যাবে। তবে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে যাওয়া যাবে না।উল্লেখ্য, বর্তমানে ফ্রান্সে দৈনিক গড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ৫০,০০০ মানুষ। শুধু ফ্রান্সই নয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই হাল। বেলজিয়ামে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্ত হচ্ছে ১৫০ জন। গত লকডাউনে এই সংখ্যা ছিল ৬২। জি২৪ ঘন্টাভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা পুনর্বহাল করার জন্য রাজনৈতিক ও আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।শুক্রবার কারগিলে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন। ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না।’

শুক্রবার বিকেলে ওমর আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল জম্মু-কাশ্মিরের জন্য পরবর্তী উপায় বের করার জন্য সেখানকার লোকদের সাথে পরামর্শের উদ্দেশে কারগিল সফর করেন।জম্মু-কাশ্মিরের জনগণের অধিকারের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করে ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি) সকলের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত যাতে তাদের দাবির বিষয়ে ব্যাপকভাবে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো যায়।এরআগে, দ্রাস সেক্টরের জনগণকে সম্বোধন করে ওমর বলেন, ‘গত বছরের (৫ আগস্ট, ২০১৯) কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের (৩৭০ ধারা বাতিল) বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। কারণ এটি পূর্ববর্তী রাজ্যের জনগণের সাথে পরামর্শ না করেই তাকে ‘অবৈধভাবে’ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।”জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বহাল করার জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপিসহ সাতদলীয় জোট ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি) গঠন করেছেন। এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ডা: ফারুক আব্দুল্লাহ।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লাহ এর আগে গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মিরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নয়া ভূমি আইনের সমালোচনা করে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের নয়া ভূমি আইনের চেয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভূমি আইন আরো কঠোর।ভারতের মানুষ হিমাচল প্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যেও জমি কিনতে পারে না। আমাদের কী দোষ তা জানি না, জম্মু-কাশ্মিরে জমি কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যদি আমরা এর বিরুদ্ধে কথা বলি তাহলে আমাদের দেশবিরোধী বলা হবে।’এদিকে, নয়া ভূমি সংস্কার আইনের সমালোচনা করে ‘রিকনসিলেশন, রিটার্ন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর মাইগ্র্যান্টেস’ সংগঠনের চেয়ারম্যান সতীশ মহলদার বলেন, গত ৩১ বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি, কবে আমরা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাব।কিন্তু সরকার আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কাশ্মিরের জমি বিক্রির জন্য ছেড়ে দিচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা, এবার আমাদের মন্দির, ধর্মীয়স্থল, কাশ্মিরি পণ্ডিতদের প্রতিষ্ঠানগুলোর দখল নেবে জমি মাফিয়ারা। আমাদের দাবি, কাশ্মিরের নয়া জমি আইন নিষিদ্ধ করে আমাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচ লাখ কাশ্মিরি পন্ডিত ঘরছাড়া হয়ে আছেন। আর কতদিন আমাদের এই নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হবে?জম্মু-কাশ্মিরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিলের আগে কেবল সংবিধানের ৩৫-এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘স্থায়ী বাসিন্দা’রাই জম্মু-কাশ্মিরে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন। কিন্তু এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি আইন পরিবর্তন করে সব ভারতীয়কেই সেই অধিকার দেয়া হয়েছে।স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘জম্মু-কাশ্মির উন্নয়ন’ আইনের ১৭ নম্বর ধারা প্রযোজ্য। ওই ধারায় ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সেখানকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে

২০২০ সালটি সত্যিই ভারতের জন্যে কালো ভ্রুকুটি। বিশিষ্ট ভূবিজ্ঞানী ড: সুজিব কর জানাচ্ছেন, আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে উত্তর ভারত এবং উত্তর পূর্ব ভারতে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। ডা: সুজিব কর বলছেন, আফ্রিকান প্লেট এবং ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ক্রমান্বয় অবস্থান পরিবর্তন ভূমিকম্প সৃষ্টি করবে।ইতিমধ্যেই আফ্রিকান প্লেট এবং ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে ভূকম্পের হদিশ মিলেছে। ভূবিজ্ঞানীর এই পর্যবেক্ষণকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত সরকার। সমস্ত ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে। মানবজমিনরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দক্ষিণ ককেশাসের কারাবাখ অঞ্চলের অধিকৃত ভূমি আজারবাইজানের কাছে ফেরত দেয়ার বিষয়ে মস্কোর অবস্থান উন্মুক্ত। নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যখন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ চলছে তখন তা অবসানের লক্ষ্য নিয়ে পুতিন এই বক্তব্য দিলেন।চলমান সংর্ঘষের অবসান ঘটানোর জন্য রাশিয়া শুরু থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং পুতিন সরকারের মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দু দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তিও হয়েছে। অবশ্য, সেসব যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুব একটা কার্যকর হয় নি মূলত বাকু ও ইয়েরেভানের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে পুতিন বলেন, সমস্যার সমাধানে কারাবাখের দখল হয়ে যাওয়া ভূমি আজরাবাইজানের কাছে ফেরত দিতে তার সরকারের অবস্থান উন্মুক্ত।তিনি বলেন, আজারবাইজান লাগোয়া পাঁচটি জেলা বা অঞ্চল বাকুর কাছে ফিরিয়ে দিতে মস্কো সম্মত আছে। পাশাপাশি কারাবাখে বিশেষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেও তার সরকারের দ্বিমত নেই। নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বে রাশিয়া অনেকটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিলেও মস্কোর তুলনামূলক সমর্থন ইয়েরেভানের দিকেই রয়েছে।পুতিন বলেন, দুপক্ষের জন্যই স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। দু দেশের জনগণের স্বার্থকেই গুরুত্ব দিতে হবে, বিষয়টির সমাধান সেজন্য বেশ কঠিন। কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এক মাসের বেশি সময়ের সংঘর্ষে আজারবাইজানের সেনারা অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করতে।মক্কার ঐতিহাসিক মসজিদ আল হারামের গেটে গাড়ি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারী মসজিদের ৮৯ নাম্বার গেট দিয়ে গাড়ি নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে।লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, শুক্রবার দিনের শেষভাগে মসজিদ আল হারামের গেটে এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে দ্রুতগতিতে ধাক্কা দেন। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। অভিযুক্ত গাড়িচালককে আটক করেছে সৌদির নিরাপত্তাবাহিনী।

মক্কা প্রশাসনের মুখপাত্র সুলতান আল-দোসারি বলেছেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানতে পারেন, মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের প্রবেশদ্বারে একটি গাড়ি আঘাত করেছে।তিনি বলেন, গ্র্যান্ড মসজিদের দক্ষিণ প্রান্তের একটি রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলার সময় গাড়িটি হঠাৎ বাক বদলে তীব্রভাবে আঘাত করে। সৌভাগ্যবশত এতে কেউ আহত হননি।সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, আটক গাড়িচালক সৌদি নাগরিক এবং তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়িটি মসজিদের আঙ্গিনায় দ্রুতগতিতে চলার সময় প্লাস্টিকের ব্যারিকেডগুলো ধাক্কা দিয়ে শেষপর্যন্ত একটি গেটের ওপর আছড়ে পড়ে।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ফরাসি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা আপনাদের প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করুন কেন তিনি একজন আল্লাহর রাসূলকে অবমাননা করার পক্ষে অবস্থান নিলেন? এবং কেন এটাকে তিনি বাকস্বাধীনতা বলছেন?ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ফরাসি যুবকদের উদ্দেশ্যে দেয়া বাণীতে প্রশ্ন করেছেন, পবিত্র ও ঐশী ব্যক্তিত্বদেরকে অপমান অপদস্থ করাই কি বাকস্বাধীনতা? তিনি আরো বলে, ফ্রান্সের যেসব মানুষ ম্যাক্রনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন ম্যাক্রন সেই সব মানুষকে তার এই বোকামিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মূলত তাদেরকে কি অপমান করেননি?

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো প্রশ্ন করেন, কথাকথিত ইহুদি নিধনযজ্ঞের কল্পকাহিনী বা হলোকাস্টের বিরুদ্ধে কথা বলাকে কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়? যদি কেউ হলোকাস্টের বিষয়ে প্রশ্ন তোলে কিংবা সন্দেহ করে অথবা অস্বীকার করে তাহলে কেন তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়? অথচ বিশ্বনবীকে অবমাননার ঘটনাকে বাকস্বাধীনতা বলে দাবি করা হচ্ছে!ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন সম্প্রতি বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে অবমাননা করে ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের বিষয়টিকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার পর বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরও ওই দেশটির সরকার এটাকে বাকস্বাধীনতা বলে দাবি করছে।এমনকি পাশ্চাত্যের আরো অনেক দেশও এটাকে বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার বলে দাবি করছে। ফ্রান্সসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইসলাম ভীতি ছড়ানোর মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে অথচ এ ধর্ম রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা বয়ে এনেছে।বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ(সা.) হচ্ছেন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু এবং এমনকি এ ধর্ম অন্যান্য ঐশী ধর্মের প্রতিও সম্মান দেখাতে বলে। সব ধর্মেই উগ্রপন্থাকে ঘৃণা ও নিন্দা জানানো হয়।

তাই কারোরই উচিত নয় রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য উগ্রন্থীদেরকে হাতিয়ার বা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু ফরাসি কর্মকর্তারা এ অপকর্মটিই করছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন বাকস্বাধীনতার দোয়াই দিয়ে বিশ্বনবীকে অবমাননা করার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তার কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না এবং তার এ আচরণ সব ধর্মের মধ্যে গঠনমূলক সহযোগিতা, সহাবস্থান ও শান্তি জন্য সহায়ক নয়।ইরাকের খ্রিস্টান পাদ্রী কার্ডিনাল মার লুইস রাফায়েল সাকু এক বিবৃতিতে বলেছেন, সব ধর্মের লক্ষ্য হওয়া উচিত ঘৃণা ও সহিংসতার পরিবর্তে পারস্পরিক ভালবাসা, শান্তি, সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মুসলমানদের ব্যাপারে ফরাসি প্রেসিডেন্টের আচরণ কোনো ধর্মেরই নীতি আদর্শের মধ্যে পড়ে না এবং তিনি সারা বিশ্বের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রেসিডেন্টের পদে বসে বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে ম্যাকরণের দ্বিমুখী নীতি সেদেশের জনগণের প্রতি অবমাননা যারা কিনা তাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। কারণ বাকস্বাধীনতার অর্থ অন্য ধর্মের প্রতি অবমাননা করা নয়।বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট খুব সহজে বিশ্বনবীকে অবমাননার ঘটনাকে সমর্থন করেছেন অথচ ওই দেশটিতেই হলোকাস্টের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না এবং এটাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।ফরাসি যুবকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

ফরাসি যুবকদের উদ্দেশ করে উপদেশমূলক বক্তব্য দেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম ফরাসি ভাষায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বুধবার রাতে ফরাসি যুবকদের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠান যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফারসি ও ফরাসি ভাষাসহ আরো কিছু ভাষায় প্রকাশিত হয়।ওই বার্তায় তিনি ফরাসি যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন তাদের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনকে এই প্রশ্ন করে যে, তিনি কেন আল্লাহর রাসূলের (আ.) অবমাননার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার বার্তায় বলেন, “আপনারা আপনাদের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করুন, যেখানে হোলোকাস্টের কল্পিত কাহিনী সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করাও অপরাধ এবং এ কাজ করলে যেখানে জেল-জরিমানা হয় সেখানে ইসলাম অবমাননা করলে তা কেন বাক স্বাধীনতার নামে চালিয়ে দেয়া হবে।”

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ফরাসি ভাষায় এই দপ্তরের আগের একাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর এবার নতুন একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খোলা হয়েছে। যেকোনো আগ্রহী ব্যক্তি ফরাসি ভাষায় আয়াতুল্লাহি উজমা খামেনেয়ীর নয়া ইনস্টাগ্রাম পেজ দেখতে চাইলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানকে জার্সি উপহার দেওয়া আর তাঁর পক্ষে রাজনৈতিক কথা বলার জেরে জার্মানি দল থেকে বাদ পড়েছেন আগেই। মেসুত ওজিল কাগজে-কলমে এখনো আর্সেনালের খেলোয়াড় হলেও জায়গা পাচ্ছেন না দলে।আর্সেনালের বিষয়টিতে অভিমানে আবেগী একটি টুইট করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান ফুটবলার। এবার তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছেন ফ্রান্সের ঘটনায় টুইট করে।এক শিক্ষক রাসুল (সাঃ) এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদশনের পর থেক দেশটিতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির দ্বিতীয় প্রধান ধর্ম ইসলাম। এভাবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে জড়ানোয় দেশটির ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন।মাখোঁর সমালোচনা চলছে মুসলমানদের মাঝে। বিশ্বের মুসলিম প্রধান অঞ্চলেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ফ্রান্সে চলমান এই অস্থিরতা নিয়ে ওজিল টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই।’আর্সেনাল দলেও ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়া মেসুত ওজিল। ফাইল ছবি রয়টার্সজার্মানির সাবেক মিডফিল্ডার ওজিলের জন্ম জার্মানিতে, তবে তুরস্কের এক মুসলিম পরিবারে। মুসলিম পরিবারে জন্ম হলেও নিজেকে সব সময়ই ধর্ম নিয়ে বিতর্কের বাইরেই রেখেছেন ওজিল। নিজেকে তিনি দূরে রাখতেন অন্য সব বিতর্কিত বিষয় থেকেও। কিন্তু এরদোয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও তাই রাশিয়া বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা হয়নি তাঁর।

বিশ্বকাপের পর থেকে আর দলে জায়গাই পাননি। সাত বছর আগে রিয়াল থেকে আর্সেনালে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার এরপর ব্রাত্য হয়ে পড়েন আর্সেনাল দলেও। গানারদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৪ ম্যাচে ৪৪ গোল করা ওজিল উনাই এমেরি কোচ থাকতেই আর্সেনালের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের অধীনে ফিরেছিলেন দলে। কিন্তু করোনা মহামারিতে স্থগিত খেলা আবার শুরুর পর থেকে আর্সেনাল দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন ওজিল। এর পেছনে চীনের উইঘুর মুসলমানদের নিয়ে করা তাঁর মন্তব্যের ভূমিকা আছে বলেই মনে করেন ওজিলের ঘনিষ্ঠরা। আজ টুইটে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়ে সবাইকে পবিত্র কোরানের একটি আয়াত মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘কেউ কাউকে হত্যা করল সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করল। আর কেউ একটি প্রাণ রক্ষা করল সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’আর্সেনাল দলে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেক কথা বলেছেন জার্মানির সাবেক মিডফিল্ডার। ৩২ বছর বয়সী খেলোয়াড়ের কণ্ঠে ছিল অভিমান। আর্সেনালের সমর্থকদের উদ্দেশ করে একটি টুইট করেছিলেন তিনি। যেখানে দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া নিয়ে নিজের অবস্থানটা জানান। আর্সেনাল তাঁকে ব্রাত্য করে দিলেও মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হবে না বলে উল্লেখ করেছিলেন। আর বলেছিলেন ঠিকঠাকভাবে অনুশীলন করে যাবেন এবং দলে আবার সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবেন।ব্যস্ত রাস্তায় সেঁটে দেওয়া হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সারি সারি ছবি। তার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। মাড়িয়ে যাচ্ছেন পথচারীরা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ে দেখা গিয়েছে এমন দৃশ্য। দক্ষিণ মুম্বইয়ের জে জে ফ্লাইওভারের নীচে মুহাম্মদ আলি রোড এবং ভেন্ডি বাজার এলাকায় দেখা যায়।মুম্বাই পুলিশের মুখপাত্র এস চৈতন্য শুক্রবার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পোস্টারগুলি সরিয়ে নেন।’’ প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে ধর্মীয় ব্যঙ্গচিত্র বিতর্কের জেরে ফ্রান্সে মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠীদের ধারাবাহিক হামলার প্রতি সমর্থন জানাতেই এই কাজ করা হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকাএবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন মুসলিম ভোটাররা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ হলেও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে এবার মুসলিম ভোটাররা ভোটের ফলে বড় ব্যবধান গড়তে পারেন।গ্রীষ্মে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ইমিগ্রেশন পলিসি সেন্টারের এক জরিপে দেখা যায়, দোদুল্যমান দুই অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার বৃহৎ এক মুসলিম জনগোষ্ঠী আগের চেয়েও এবারের নির্বাচনে বেশি আগ্রহী। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দুই অঙ্গরাজ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মুসলিম ভোট দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।মুসলমানদের ভোট দিতে আগ্রহী করতে এরইমধ্যে ‘মাই মুসলিম ভোটে’র প্রচারণা শুরু হয়েছে।একজন বলছেন, ‘গত নির্বাচনে ইলহান ওমর ও অন্যান্য মুসলিম নেতারা জয়ী হয়ে প্রশাসনে জায়গা করে নিয়েছেন। মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে। এবার বড় একটা পরিবর্তন আশা করছি আমরা’।মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ হলেও অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভানিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে মুসলিম ভোটাররা। মুসলিম ভোটারদের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাট সমর্থক।

২০১৮ সালের ভোটকাস্ট অনুযায়ী, প্রতি ১০ জন ভোটারের মধ্যেই আটজন ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট সমর্থন দিয়েছেন। তাই এবারও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।মিশিগানে ২০১৬ সালের ডেমোক্র্যাটের প্রাইমারি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মুসলিম ভোটার বড় ব্যবধান গড়তে পারেন। এবারও বর্ণবাদসহ বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দিতে চান তারা।তারা বলেন, ‘ভোট দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আশা করি এবার আগের চেয়েও বেশি মুসলিম ভোটার ভোট দেবেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভোটদানে আগ্রহী হবে’।জম্মু কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাজিগান্দ এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে তিন বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছেন । বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জম্মু কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে , বৃহস্পতিবার রাতে নাগাদ খবর আসে ওয়াইকে পোরা গ্রামে জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেখানে বিজেপি কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। ওই তিন বিজেপি কর্মীর নাম ফিদা হুসেন ইয়াট্টু, উমর রশিদ বেগ, উমর রামজান হাজম। এর মধ্যে ফিদা হুসেন বিজেপির জেলা যুব শাখার সাধারণ সম্পাদক। বাকি দুজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। শ্রীনগরের বিজেপি মুখপাত্র গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।জানা গেছে, আহত বিজেপি কর্মীদের যে গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, জঙ্গিরা সেই গাড়ির ওপরেও গুলি চালায়। এই হত্যাকাণ্ডের পর পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসেও বদগাম জেলার খাগ গ্রামে এক বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।