আগামী নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে যা বললেন ইসি আলমগীর

চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ না থাকায় চলমান ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা যায়নি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। সেগুলোর সমাধান হলেই এ যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর সঙ্গে অর্থ ও ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি জড়িত। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ পেলে ও চার লাখ ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা মনিটর করার পথ পাওয়া গেলে অবশ্যই আমরা এটা ব্যবহার করব।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাশ না হলে দেড়শ আসনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব হবে না- ইসির এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব; কিন্তু কতগুলো আসনে ব্যবহার করব- তা নির্দিষ্ট করে বলিনি।

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা বড় কর্মযজ্ঞ। নানারকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্প এখনো অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্টে কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে আমাদের কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও এজেন্ডাভুক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা পুনঃনির্ধারণের কাজ চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ কাজ পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো পাইনি। ওই প্রতিবেদন না পেলে বিদ্যমান জনশুমারি ধরে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। মে মাসের মধ্যে সীমানা পুনঃনির্ধারণ কাজ চূড়ান্ত করা হবে।