যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। তাঁর দল থেকে নির্বাচিত হওয়া দুই গভর্নর এবারের নির্বাচনে তাঁকে ভোট দেননি! এই ভোট না দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন তাঁরা।ওই দুই গভর্নর হলেন ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ফিল স্কট ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর চার্লি বেকার। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারমন্টের গভর্নর স্কট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন।
বাইডেনকে ভোট দেওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গভর্নর স্কট। তিনি বলেন, ‘আমি দলের ওপরে দেশকে রেখেছি।’ চার বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন স্কট। তিনি বলেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চার বছর সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। জীবনে এবারই প্রথম ডেমোক্রেটিক পার্টির কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানান স্কট। স্কট বলেন, ‘আত্মার তৃপ্তির জন্য কিছু করতেই হতো আমাকে।’
তবে ভিন্ন পথে হেঁটেছেন আরেক গভর্নর চার্লি বেকার। প্রেসিডেন্ট ব্যালটে ভোটই দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যালট খালি রেখেছি।’
এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হোয়াইট হাউসের পথে ট্রাম্পের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছেন জো বাইডেন। দুই সুইং স্টেট (দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য) উইসকনসিন ও মিশিগানে জয় পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই দুই অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবার মিশিগানের ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ও উইসকনসিনের ১০ টি ইলেকটোরাল কলেজ পাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট বাইডেন। এই জয়ের ফলে সব মিলিয়ে বাইডেনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৩। আর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য বলছে, মিশিগানে ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে বাইডেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৬০ ভোট। আর উইসকনসিনে বাইডেন পেয়েছেন ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৮৯ ভোট। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮৭৯ ভোট।