এবার নিষিদ্ধ হল পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল

ঢাকা: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।সোমবার ভোর ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।রোববার (২৬ জুন) তথ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিবরণী থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর

৬টা থেকে সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।রোববার সারাদিন হাজারো মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করেছে। অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের চাপে সেতুর টোল প্লাজার আগেই দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন= রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করে ফের নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ রবিবার ২৬ জুন রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রেগুলেটর ও ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচারসমূহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে হস্তান্তরের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।এ সময় মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো নৌযান চলাচল উপযোগী নয়। এসব সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভেঙে নৌযান চলাচল উপযোগী

করে নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নৌরুট চালু করতে পারলে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক অনেকটাই কমে আসবে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে খাল হস্তান্তরের পর সেগুলো সংস্কার এবং দখল হয়ে যাওয়া জায়গা ও খাল উদ্ধার করার ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জলাবদ্ধতা অনেক কম হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেত। আজ কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই।তিনি আরও বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কথার সঙ্গে কাজের মিল রাখতে হবে। কোনো কাজ শুরু করতে যদি দুই বছর যায়, আবার বাস্তবায়ন করতে ৫-৭ বছর লাগে। তাহলে এর সুফল মানুষ পাবে কখন?

এ সময় বাসাবাড়ির সুয়ারেজ লাইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, শুধু সতর্ক করলে হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা সুয়ারেজ লাইন খালে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিলে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেপটিক ট্যাংক না করলে সুয়ারেজ লাইন বন্ধ করে দিতে হবে।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে বাসযোগ্য করার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই মেয়র নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক দৃশ্যমান কাজ করেছেন তারা।