করোনার দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের আয়োজনে পিকনিক!

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে করোনার প্রথম ধাপের শেষ দিকে বেশ কয়েকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও ফিরে আসে সরকার। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ। ঠিক সেই সময়েই গত ২০ মার্চ ২২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা গ্রহণ করে শিক্ষকদের নিয়ে কুষ্টিয়া লালন শাহের মাজার ও শিলাইদাহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি পিকনিক করে আসলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুবাইয়া ইয়াসমীন।

পিকনিকে অংশ নিতে দেখা গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহাকেও। অংশগ্রহণ করলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষক। এ পিকনিকের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, পিকনিকের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদর উপজেলার ৭টি ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রতিটি স্কুল থেকে এক হাজার করে চাঁদা নিয়েছেন। যারা পিকনিকে অংশগ্রহণ করেননি তাদেরকেও চাঁদা দিতে হয়েছে।

এদিকে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় কেউই সামাজিক দূরত্ব না মেনে, মুখে মাস্ক না পরে কেক কাটাসহ আনন্দ উল্লাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে।

পিকনিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, আমি ওই পিকনিকে অতিথি ছিলাম। তবে চাঁদা গ্রহণের বিষয়টি আমার জানা নেই। চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমীন বলেন, আমরা শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলতে পারব না।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ইলিয়াছুর রহমান বলেন, এসময়ে এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিচ্ছি।