ভাড়া বাসায় তরুণীকে রেখে বিদেশে যুবক, স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশন

বিয়ে করে বাড়িতে না এনে ভাড়া বাসায় রেখে বিদেশে চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইমন খান (২৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাসা ভাড়া না দিতে পারায় বাড়ির মালিক ওই তরুণীকে বের করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ইমনের পরিবার তাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এ জন্য স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে প্রবাসী ইমনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ওই তরুণী। এখন ওই তরুণীর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চরচিকন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মালয়েশিয়া প্রবাসী ইমন খান চরচিকন্দী গ্রামের মোশারফ খানের একমাত্র ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণী একই উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামের মেয়ে।

ভুক্তভোগী তরুণী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইমন খানের। গত ১০ আগস্ট শরীয়তপুরে সাত লাখ টাকা দেনমোহরে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন ইমন। কিন্তু কিছুদিন আগে ওই তরুণীকে না জানিয়ে ইমন মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর ওই তরুণীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি ইমন। সব প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইমনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা বিয়ে করে ঢাকায় একসঙ্গে সংসার করেছি। কিন্তু ইমন হঠাৎ করে আমাকে কিছু না বলে বিদেশে চলে গেছে। শত চেষ্টা করেও তার সঙ্গে আমি কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। ভাড়া বাসা থেকে ওই বাড়িওয়ালা আমাকে বের করে দিয়েছেন। আমার যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা না থাকায় আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে এসেছি। কিন্তু আমার শাশুড়িসহ অন্যরা আমাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। ইমনের বউ হিসেবে আমি স্বীকৃতি চাই। যদি আমাকে মেনে না নেয় তাহলে আমি এখানেই মারা যাব, কেননা আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

ইমন খানের মা নাজমুন নাহার বলেন, আমি জানি না, আমার ছেলে বিয়ে করেছে। যে বিয়ের কথা আমি জানি না। সেই বিয়ের বউ মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি ওই মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেব না।

শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রব মাদবর বলেন, ছেলের পরিবার বা সমাজের কেউ জানে না যে ইমন বিয়ে করেছে, তার বউ আছে। ওই মেয়ে বাড়িতে আসার পর আমরা জানতে পেরেছি। এখন ছেলে-মেয়ে উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।