সেই ভাড়া করা বাসায় ফিরতে শুরু করেছে পাখিরা

রাজশাহীর বাঘায় সেই ভাড়া করা বাসায় পাখিরা ফিরতে শুরু করেছে। খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে এ বছরও প্রজননের প্রয়োজনে পাখিরা ফিরছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৯ অক্টোবর বিভিন্ন প্রত্রিকায় ‘পাখিদের বাসা ছাড়তে সময় দেওয়া হলো ১৫ দিন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়।

আদালত স্বপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশ দেন। কেন ওই এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এলাকাটি অভয়ারণ্য ঘোষণা করে বাগান মালিক ও বাগানের ইজারাদারের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে পাখির স্থায়ী আবাস গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দিয়ে পাখির জন্য বাসা ভাড়া করা হয়েছে। সেই ভাড়া বাসাতে পাখি আসতে শুরু করেছে।স্থানীয় আমচাষি মনজুর রহমান জানান, ৩৮টি আমগাছের মূল্য নির্ধারণ করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পাখি আবারো ফিরতে শুরু করেছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছের হিসাব করে বাগান মালিকদের হাতে ক্ষতির টাকা দিয়েছি। এ বাগানে পাখি আসতে শুরু করেছে।উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে এ বাগানে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চা উড়তে শিখলে তারা চলে যায়।