বৌভাতে পানি চাওয়ায় মারধর, হাসপাতালে ৫

ভোলার মনপুরায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে পানি চাওয়ায় তর্ক-বির্তকের জেরে কনে পক্ষের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত কনের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আজ সোমবার মারধরের ঘটনায় কনের পরিবার মনপুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আহতরা হলেন- কনের মা নুরনাহার বেগম, বোন কমলা, ভাই নাজিম, ভাবি মুক্তা ও চাচাতো ভাই খলিল।কনের মা নুরনহার বেগম বলেন, ‘উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরনবীর ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আমার মেয়ের বিয়ে হয়।

বিয়ের দুদিন পর রোববার জামাই বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাই। সেখানে ঘটক রুবেল ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া বরপক্ষের লোকজন জামাই ও বউয়ের জন্য জামা-কাপড় নিয়ে আসেনি কেন- এ কথা তুলে সমালোচনা করতে থাকেন। পরে খাওয়ার টেবিলে পানি চাইলে তর্ক-বির্তক শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘটক রুবেল ও ছিদ্দিকসহ আরও ৫-৭ জন মারধর শুরু করে।’ ঘটনার পর মেয়েকে নিয়ে জামাই আল-আমিন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মনপুরার ৪ নম্বর দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লা কাজল জানান, বৌভাত অনুষ্ঠানে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। কনেপক্ষকে আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, বৌভাতের অনুষ্ঠানে কনেপক্ষের লোকজনকে মারধর করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।