বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

কেরানীগঞ্জে আপন চাচাতো বোনের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফাতেমা (২০) নামের এক কলেজছাত্রী।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রোহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর এলাকার বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফাতেমার বাবার নাম আজিজুল হক। তিনি কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড

কলেজের ছাত্রী ছিলেন।ফাতেমার মা জবেদা বেগম জানান, চাচাতো বোন রেশমার (৩০) সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো ফাতেমার। সামান্য কিছু হলেই আমার মেয়েকে নানাভাবে বিষিয়ে তুলত রেশমা। মঙ্গলবার সকালে রেশমা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ফাতেমাকে এবং ফাঁস নিয়ে মরতে বলে। ঝগড়ার পর সবার অগোচরে নিজ ঘরে গলায় ওড়না

পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ফাতেমা। এ ব্যাপারে রেশমার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার এক আত্মীয় জানান, দুই বোনের মধ্যে প্রায়ই এমন ঝামেলা হতো। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ফাতেমা দ্বিতীয়। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া জানান, ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন= বাবা-মায়ের আদর-ভালোবাসা ও স্নেহ-মমতার শূন্যতা কতটা বেদনাদায়ক নবীজি (সা.) তা শতভাগ উপলব্ধি করেছেন। তার জীবনচরিতে দেখা যায়, এ উপলব্ধি থেকে তিনি এতিমদের অত্যধিক স্নেহ করতেন, আদর-মমতায় জড়িয়ে নিতেন।একবার ঈদের দিন সকালবেলা একটি শিশুকে ছিন্নবস্ত্র পরিহিত ও শরীর কাদায় মাখানো অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখে রাসুল (সা.) আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নবীজি (সা.) তাকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যান এবং উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘শিশুটিকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও।’ আয়েশা (রা.) গোসল করানোর পর তিনি নিজ হাতে তাকে নতুন জামা পরিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে নিয়ে যান। আদর করে শিশুটিকে বললেন, ‘আজ থেকে আমি তোমার বাবা আর আয়েশা তোমার মা।’এতিম প্রতিপালন ইসলামের অন্যতম আদর্শ ও

শিক্ষা। এর অভাবনীয় মর্যাদা ও ফজিলত রয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব’ বলে তিনি তার তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন এবং এ দুটির মধ্যে একটু ফাঁক করেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪) রাসুল (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘বিধবা, এতিম ও গরিবের সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর পথে সংগ্রামকারীর সমতুল্য বা তার মর্যাদা রাতভর জাগ্রত থেকে নামাজ আদায়কারীর মতো, যে কখনো ক্লান্ত হয় না। অথবা তার মর্যাদা সেই রোজাদারের মতো, যে কখনো ইফতার (রোজা ভঙ্গ) করে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫২৯৫)এতিমদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে অন্তর কোমল হয়, আত্মার প্রশান্তি লাভ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে তার কঠিন হৃদয়ের ব্যাপারে অভিযোগ করলে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এতিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও (ভালোবাসা ও সহমর্মিতায় কাছে টেনে নাও) এবং অভাবীকে আহার দাও।’ (মুসনাদ আহমদ)