বিএনপির লোককে পেটালেও নৌকায় ভোট দেবে না : তৈমূর

‘আমি রাজপথে গুলি খাওয়া লোক। গরুর মতো পুলিশ পিটিয়েছে। বহুবার জেল খেটেছি এই দলের জন্য। আমি নেতাকর্মীদের কাছে পরীক্ষিত ব্যক্তি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ যেমন দল করে, তেমনি তারা নারায়ণগঞ্জেরও নাগরিক। তারা নারায়ণগঞ্জের নেতা, জনগণের নেতৃত্বও দেন তারা।’মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করার সময় ভোটারদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন নাসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।

তৈমূর বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জকে কারও কাছে বর্গা দিইনি। আমরা নারায়ণগঞ্জের নাগরিক। নারায়ণগঞ্জের সব রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের লোকজন আমার সঙ্গে আছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা সব সময় আমার পাশে আছে। কাগজি ফরমাশি নারায়ণগঞ্জের মানুষ মানে না।আমি দেখি না বিএনপির কোনো লোক ঘরে বসে আছে। সব অঙ্গসংগঠনের লোকেরাই আছে। প্রতিদিন তো সবার পক্ষে মিছিল করা সম্ভব না। আমি তো দেখিনি কেউ বসে আছে। ঢাকায় এসি রুমে বসে যে যত কথা-ই বলুক, বিএনপির লোকজন নৌকাকে ভোট দেবে না।

২০১১ সালে আমি বসিনি। আমার দল বসে গিয়েছে। আমাকে দল বসিয়ে দিয়ে এখন যিনি নৌকার প্রার্থী, তাকে বেনিফিট দিয়েছে। তাকে জয়লাভ করার সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষ বলে, সেই প্রার্থীকেই জয়লাভ করানোর জন্য কোনো কোনো জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, বিএনপির লোকজনকে পেটালেও কারও কথায় তারা নৌকায় ভোট দেবে না।

আমি আল্লাহর কাছে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুকরিয়া আদায় করেছি, আবারও করছি। আমি মনে করি আমার নির্বাচনের রাস্তাটাকে আমার দল প্রশস্ত করে দিয়েছে। বিএনপির লোকেরা নৌকায় ভোট দেবে না বরং নৌকার লোকদের এখন সুযোগ হয়েছে আমাকে ভোট দেওয়ার। কারণ আমার দল আমাকে নিরপেক্ষ বানিয়ে দিয়েছে, জনগণের বানিয়ে দিয়েছে। সে জন্য শুকরিয়া কামনা করি।তৈমূর আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণ জয়লাভ করবে। আমার গায়ে এখন কোনো রং নেই, সাদা হয়ে গেছি। এটা নেতাকর্মীদের জন্যও ভালো হয়েছে।

আমি মনে করি ভাগ্যের মালিক আল্লাহ, তিনি জনগণের পক্ষে থাকবে।এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি টিএইচ তোফা, সহসভাপতি হাজী কবির হোসেন, সাবেক যুবদল নেতা রানা মুজিব, থানা বিএনপির সদস্য সেলিম মাহমুদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আইয়ুব আলী মুন্সী, ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক মৃদুল, ৪ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি রিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক হেলেনা, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন প্রমুখ।নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের শিমরাইল উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, বৌবাজার, আটি ওয়াবদা কলোনি, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, ছাপাখানা ও ফকির বাড়ি এলাকায় তিনি গণসংযোগ করেন।