চাকরি-মনোনয়ন দুই কূলই গেল শিমুলের

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের রুকিন্দীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন কামরুন্নাহার শিমুল। ৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চেয়ারম্যান পদে তাকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছিল। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ার পদ থেকে অব্যাহতি চান শিমুল। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই ৯ অক্টোবর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।

কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই সেখানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিমুলের যায় দুই কূলই। দলীয় মনোয়নের পাশাপাশি হারান নিজের চাকরিটাও।জানতে চাইলে কামরুন্নাহার শিমুল বলেন, মনোনয়নের জন্য আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। মনোনয়ন ফেরত পেলে আমি উপকৃত হতাম। ইউনিয়নে আমার অনেক সমর্থক আছেন। ৯৫ শতাংশ সমর্থক আমার।

তদন্ত করে দেখলেই তা জানা যাবে। আমাকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে আমার মনে হচ্ছে- ওরা (মনোনয়ন বঞ্চিতরা) হয়ত কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের কাজ সব সময় করেছি। কিন্তু চাকরির জন্য পদ-পদবি নেওয়া হয়নি। চাকরি আগে কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রজীবনে শিমুল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার স্বামী মো. গোলাম মাহফুজ অবসর জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এরআগে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়রও ছিলেন। শিমুলের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুল চৌধুরী ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে তাকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলাখানায় বন্দি হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে জেলখানায় বন্দি থাকা অবস্থায় রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় শিমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। কর্মীরাও প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন শিমুলের বাসায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ-শিমুল মনোনয়ন পাওয়ায় বঞ্চিতদের ইশারায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বির্তক সৃষ্টি করা হয়। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল।