খেলনা কিনে দিয়ে সখ্য গড়ে শিশুকে অপহরণ

সাভারের আশুলিয়া হতে তিন বছরের শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুই দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু আফিয়াকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৪। এ সময় অপহরণকারী চক্রের হোতা রানা আহমেদ বাকীকে (৩৪) গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী রানা আহমেদ পাবনা জেলার সদর থানায় ভাউডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক হলেও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে গত ২ বছর ধরে সাভার উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে সে বেশিরভাগ সময় রাতেই রিকশা চালাতো। আর দিনে বাসায় থাকতো।

জানা যায়, শিশু আফিয়ার বাবা-মা দুজনেই গার্মেন্টসে কাজ করায় প্রতিবেশী নানির কাছে থাকতো সে। তার পাশের কক্ষেই আপহরণকারী রানা ভাড়া থাকত। শিশুটি রানাকে তাকে মামা বলে ডাকত। এ সুযোগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন বছরের শিশু আফিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রানা। এরপর অপহরণকারী শিশুটির পরিবারের কাছে মোবাইলে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে অপহৃত শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

র‌্যাব-৪ জানায়, নির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্তে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে অপহরণকারীর নিজ জেলা পাবনা এবং শ্বশুরবাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে তার কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলার

শাহাজাদপুর থানার দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। দুই দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু আফিয়াকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অপহরণকারী রানা আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, শিশু আফিয়াকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন শিশুখাদ্য চকলেট, চিপস্ ও খেলনা কিনে দিয়ে সখ্য গড়ে তোলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শিশুটিকে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে প্রথমে তাকে একটি চিপস্ কিনে দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ হতে রিকশাযোগে বলিভদ্র বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুকে গেঞ্জি ও সেন্ডেল কিনে দিয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়।