৬৫ ঘন্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত শিশু উদ্ধার

তুরস্কের ইজমির প্রদেশের এজিয়ান উপকূলে শুক্রবার আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে প্রায় ২০ টি বাড়ি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আর এই ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬৫ ঘণ্টা পর একটি তিন বছরের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।তুর্কি দুর্যোগ

এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মেহমেত গুললৌগলু ছোট্ট এ শিশুকে উদ্ধার করতে পেরে টুইটারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এর আগে, ভূমিকম্পের ২৩ ঘণ্টা পর ইলিফের মা শেহের দেরেলি পেরিনচেক, ১০ বছর বয়সী তার জমজ ভাই ইজেল এবং ইলজেম পেরিনচেক এবং তার ৭ বছর বয়সী ভাই উমুত পেরিনচেককে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে উমুত মারা গেছে। আর তার মা এবং আরো দুই ভাই এখনও চিকিৎসাধীন।ইলিফকে উদ্ধারের সময়ের ঘটনা বর্ণনা

দিয়ে তুরস্কের ফায়ার সার্ভিসকর্মী মুয়াম্মার চেলিক আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, উদ্ধারের পর প্রথমে তার মুখ থেকে ধূলা সরান এবং আরেক সহকর্মীকে নিয়ে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার আগ পর্যন্ত বাচ্চাটা তার হাত ধরে রেখেছিল।প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮৫ জনে নিহত হয়েছে আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২২০ জন।

আরও পড়ুন=মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর প্র’তিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে ব’হিষ্কার ও দূ’তাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্রান্স দূ’তাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাস’চিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূ’তাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতের শীর্ষনেতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আ’টকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষি’প্ত বক্তব্য দেন।

এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গু’লিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। সমাবেশে হেফাজতের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফ্রান্সের বক্তব্যের বি’রুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নি’ন্দা ও ঘৃণা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের দাবি জানানো হয়।