মেয়ের বড় শখ। এতটাই মেয়ে ভালোবাসেন যে, ডেট্রয়েটের কাটেরি সোয়ানডট একটি কন্যাসন্তানের আশায় নয় নয় করে ১৪ ছেলের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন। অবশেষে কন্যা সন্তানের মুখ দেখলেন কাটেরি।





ডেট্রয়েট: মেয়ের বড় শখ। এতটাই মেয়ে ভালোবাসেন যে, ডেট্রয়েটের কাটেরি সোয়ানডট একটি কন্যাসন্তানের আশায় নয় নয় করে ১৪ ছেলের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন। অবশেষে কন্যা সন্তানের মুখ দেখলেন কাটেরি। আর এতেই পরিবারের খুশির হাওয়া। খুশির হাওয়া বললে বোধহয় কম বলা হয়, আনন্দে আত্মহারা কাটেরি ও তাঁর স্বামী। ছোট্ট বোনকে পেয়ে ভারী খুশি ১৪জন দাদা।





কিশোর বয়সেই দুজনের আলাপ। আলাপ থেকে প্রেম। অল্প বয়সেই জায় সোয়ানডটের সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়েছিলেন কাটেরি। সালটা ১৯৯৩। স্নাতক হওয়ার আগে তিন সন্তানের জননী হন কাটেরি। কিন্তু মেয়ের শখ পূরণ হচ্ছিল না কাটেরি ও তাঁর স্বামীর। ১৪ ছেলের পর ৪৫ বছর বয়সে মেয়ে হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আহ্লাদে আটখানা পরিবার। ছোট্ট কন্যা সন্তানের নামকরণ করে ফেলেছেন তাঁরা। ফুটফুটে শিশুটির নাম ম্যাগি জায়নে।





ম্যাগিকে পাওয়ার পরে জায় কাটেরি জানিয়েছেন, ’’আমরা আনন্দে আত্মহারা, দারুণ উত্তেজিত। এই বছরটা আমাদের কাছে নানানভাবে স্মরণীয়। কিন্তু ম্যাগি আমাদের কাছে এ বছরের সেরা উপহার। আমরা ভাবতেই পারিনি।‘‘ম্যাগির সবচেয়ে বড় দাদার বয়স ২৮ বছর। বোনকে পেয়ে সেও মহা খুশি। টাইলার সোয়ানডট জানিয়েছেন, ’’ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার বাবা-মা শেষ পর্যন্ত এক কন্যা সন্তান পেয়েছেন, যা তারা ভাবতেই পারেননি।‘‘





দম্পতির সবচেয়ে ছোট ছেলের নাম ফিনলে সেবয়গ্যান। ২০১৮ সালে সে সোয়ানডট পরিবারের সদস্য হয়েছে।এখন সবাই ম্যাগিকে নিয়েই আনন্দহারা। ম্যাগি কেমন করে ঘুমোয়, কেমন করে কাঁদে, খিদে পেলে কী করে, কেমন করে তাকায় তা নিয়ে চর্চা করতেই সবাই ব্যস্ত।




