হবিগঞ্জে পীর সেজে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক প্রতারক। এ ঘটনায় ওই প্রতারককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম (৪৫) জেলার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান খান সজল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালে ফটিকছড়ির একটি মাজারে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। কাইয়ুম ‘পীর’ সেজে ওই নারীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকেন। এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, এ বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হতে পারে। দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন। পরে বাড়িসহ আরও কিছু জায়গা বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ চলে আসেন। কিছুদিন পর হবিগঞ্জের
ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করেন। সেখানে ঘর নির্মাণ করে সন্তানদের নিয়ে তিনি বসবাস করতে থাকেন। এ সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে পটিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি ৫ জুন প্রতারক আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উক্ত মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে আব্দুল কাইয়ুম মঙ্গলবার হবিগঞ্জে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।