রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল (৫২) মারা গেছেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লাগে মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভুবনের স্ত্রী রত্না রানী শীল তার একমাত্র মেয়ে ভূমিকা চন্দ্র শীল ও দুই ভাইকে নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালে স্বামীর সুস্থ হয়ে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন।
এর আগে গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে ভুবনের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।
স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে ভুবন চন্দ্র শীলের সংসার। গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন ভুবন। রাজধানীর গুলশানে তার অফিস। ঘটনার রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে মতিঝিলের আরামবাগের বাসায় ফেরার পথে তেজগাঁও এলাকায় গুলিবদ্ধ হন তিনি।
ভুবন শীল আরামবাগের বাসায় একাই থাকতেন। তার স্ত্রী রত্না একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন নোয়াখালীর মাইজদীতে। রত্না মাইজদীর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের মেয়ে ভূমিকা চন্দ্র শীল সদ্য এসএসসি পাস করেছে।