বিয়ের এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন দেশের অন্যতম আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। বিভিন্ন সময় নানান ইঙ্গিতের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েনের বিষয়টি সামনে আনেন সানাই।প্রায় সময়ই স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এই অভিনেত্রীর। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে তাদের মধ্যে। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে সানাইয়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী আবু সালেহ মুসা।
তিনি জানান, একটু আগেই ভালো ছিল। হঠাৎ বটি নিয়ে এসে আমায় আঘাত করে। পরে ভাগ্য ভালো বাসা থেকে বাইরে চলে আসতে পারছি। আজকে ঝাড়ু দিয়ে মেরেছে। এর আগে লাথিও মেরেছে, তবুও আমি কিছু বলি নাই। আজকে দুই তিনটা লাথি মেরে রীতিমতো আমার কিডনির সমস্যা করে দিয়েছে। এরপরও আমি কিছু বলিনি। তার সঙ্গে আজ একটু কথা কাটাকাটি হওয়ায় ঝাড়ু দিয়ে আমার মাথায় মেরেছে। পরে আমি একটি থাপ্পড় দিলে, সেও দুইটি থাপ্পড় মারে আমাকে।
অভিনেত্রীর স্বামী আরো জানান, আমাকে প্রায় এভাবে মারধর করে সানাই। আমি এ নিয়ে কিছু বলি না, কারণ চাই আমাদের সর্ম্পকটা টিকে থাকুক। সে আমাকে আজকে বলে তুই আমাকে চড় মেরেছিস, তুই আমাকে চিনিস। তখন আমি হাসতে হাসতে বলেছি, দুই তিনশ চড় মেরেছো, আমি না হয় একটাই মারলামই। তারপর সে চেয়ার দিয়ে আমার শরীরে মেরেছে, পরে রান্নাঘরে গিয়ে বটি আনে আমাকে মারার জন্য, সেটা আমি পালানোর চেষ্টা করি। এমন সময় আমার হাতে বটি দিয়ে আঘাত করে সে। ভাগ্য ভালো আমি বটি ধরতে পেরেছিলাম। না ধরলে আজকে তো আমি মার্ডার হয়ে যেতাম।
আবু সালেহ মুসা আরও বলেন, আমি একটু শাসন করব সেটাই অপরাধ। আমি একটু কেয়ার করলে সেটাও অপরাধ। আমাদের মধ্যে কোনো কিছু গ্যাপ ছিল না। ফ্যামিলি থেকে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। ওরা আসেও না আমাদেরকে দেখেও না। এসে তো সমাধান বের করবে। চাকরিটা হচ্ছে মূল সমস্যা। কোনো ফ্যামিলি সমাধান করে দেয় না। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আজকে তো আমাকে কিডনিতে আঘাত করেছে, তারপরও কিছু বলিনি। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে কথা কাটাকাটি হতেই পারে, কিন্তু হাতাহাতি কেন? এ দিকে বিষয়টি নিয়ে সানাই মাহবুবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় অভিনেত্রীর ফোন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ মে পারিবারিক আয়োজনে অনেকটা গোপনেই বিয়ে করেন আবু সালেহ মুসাকে। বিয়ের পরই শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন এই অভিনেত্রী।