দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মতো মতো জাতীয় গ্রিডের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এই দ্বীপ।এ লক্ষ্যে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল স্থাপন করা হচ্ছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ যাবে কুতুবদিয়ায়।উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ— তিন দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল। মধ্যিখানে প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সাগরের বুকে ভেসে থাকা একটি দ্বীপ কুতুবদিয়া। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুতুবদিয়া উপজেলার লোকসংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
৮৮৮ জন। বর্তমানে দুই লাখ ছাড়িয়েছে। ৩০ হাজার গ্রাহকে বিদ্যুৎ দিলে পুরো এলাকা কাভার করবে। কারণ গড়ে এক জন গ্রাহক থেকে ৬ থেকে ৭ জন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবেন। `হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।অন্যদিকে বেসরকারিভাবে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি) নির্মাণ করা হবে হাতিয়া দ্বীপে। এর পরে হাতিয়া থেকে নিঝুম দিয়ে ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হবে।
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিতরণ অঞ্চল, বিউবো, চট্টগ্রাম) মো. শামছুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, “মাতারবাড়ী নতুন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে সাবমেরিন ক্যাবেলের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ যাবে। সন্দ্বীপের মতো আধুনিক ভারি ক্যাবল ব্যবহার করা হবে। ঝুঁকিমুক্ত রাখতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ”বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সকল এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ বিভাগের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন এবং মুজিব জন্মশত বার্ষিকীতে বিদ্যুৎ বিভাগের অঙ্গীকার পূরণের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে।
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
আইপিপিপির মাধ্যমে হাতিয়া দ্বীপে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে হাতিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়া থেকে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে নিঝুম দ্বীপ এবং মগনামা হতে চ্যানেলের তলদেশ দিয়ে পারাপার করে কুতুবদিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। বর্তমানে বিপিডিবির হাতিয়া দ্বীপে ২ হাজার ৫৫৮ জন, কুতুবদিয়া দ্বীপে ১ হাজার ২০০ জন গ্রাহক রয়েছে। নিঝুম দ্বীপে কোনো গ্রাহক নেই। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭ এমভিএ বা ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। এসবের মাধ্যমে ৪২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া যাবে।
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করার জন্য একটি ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে রিকুয়েস্ট অপর প্রোপোজাল (আরএফপি) ইস্যু করা হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধেই আরএফপি দাখিল করেছে। আইপিপির আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যথাসময়ে নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
হাতিয়া থেকে নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী অগভীর চ্যানেল এবং মগনামা হতে কুতুবদিয়ার মধ্যবর্তী চ্যানেলের নাম এবং মগনামা ইউনিয়ন কোন উপজেলায় অবস্থিত তা ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) উল্লেখ করার পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে তার ক্ষমতাওয়ারি পরিমাণ ও ব্যয় বিভাজন ডিপিপিতে উল্লেখ করতে হবে।হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য এসপিসি (খুঁটি) পোলের বিপরীতে স্টিল পোল দ্বারা প্রতিস্থাপিতকরণ, ৩৩/১১ কেভি কনভেনশনাল উপকেন্ত্রের পরিবর্তে মডুলার টাইপ উপকেন্দ্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)
![](https://i.imgur.com/Hjjwsnc.jpg)