ঢাকা-বগুড়া মহাসড়করের মহিপুর এলাকায় থ্রি-হুইল (সিএনজি) ধরার সময় তোপের মুখে পড়ের জীবন রক্ষার্থে সিএনজি রেখেই পালালেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিম ক্যাম্পের কনস্টেবল রেজওয়ান। এ সময় বিক্ষিপ্ত জনগণ মহাসড়ক অবরোধ করে এবং থ্রি-হুইল মহাসড়কে চলাচলের দাবি করে। প্রায় ৪৫ মিনিট মহাসড়ক অবোরোধ থাকায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গাড়ী যানজটের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইল চলাচল বন্ধের জন্য কঠোর অবস্থানে নেয় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প। মহাসড়কে থ্রি-হুইল (সিএনজি) চলাচলের সময় শেরুয়া বটতলা এলাকা থেকে একটি অটো ভ্যান আটক করে গাড়িদহ হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। মহিপুর এলাকায় পৌছালে বগুড়া থেকে শেরপুর গামী একটি সিএনজি মহিপুর সামিট স্কুলের সামনে হাইওয়ে পুলিশকে দেখে ভিতরের রাস্তায় যাওয়ার সময় সিএনজি পথচারী বেলাল হোসেনকে ধাক্কা দেয়।
সিএনজিকে ধরতে কনস্টেবল রেজওয়ান এগিয়ে গেলে এলাকার লোকজন পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। হাইওয়ে পুলিশ রেজওয়ানের হেলমেটে ইট লেগে হেলমেট ভেঙ্গে যায়। এবং জনগনের তোপের মুখে পড়ে। এ সময় জীবন রক্ষার্থে সিএনজি রেখে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। মহিপুর এলাকার যুবক হাসান মাহমুদ ও রেজাউলসহ এলাকার স্থানীয়রা দাবি করেন, হাইওয়ে পুলিশ রেজওয়ানের মোটরসাইকেলের সঙ্গেই ধাক্কা লেগে পথচারী বেলাল আহত হয়। সেখানে তাকে সাহায্য না করে সিএনজি ধরতে যায়। তাই বিক্ষিপ্ত জনগন তার দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে রাস্তা অবরোধ করে।
হাইওয়ে পুলিশ রেজওয়ান জানান, আমি সিএনজি ধরতে যায়নি আমাকে দেখে পালানোর সময় পথচারীকে ধাক্কা দেয় আমি সেখানে দেখতে গেলে বিক্ষপ্ত জনগন আমার উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে আসি। এ ঘটনায় শেরপুর থানা পুলিশ, ট্রাফিক ফাঁড়ি, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা রাস্তা অবরোধেরে কথা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, দতন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আসলে পথচারীকে কে ধাক্কা দিয়েছে আর কি হয়েছে।