আবারও দেশের বাজারে বাড়তে চলেছে স্বর্ণের মূল্য। মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে সোনার বাজার। সেই প্রভাব দেশের বাজারেও পড়তে যাচ্ছে খুব দ্রুত।
গত এক সপ্তাহের তুলনায় বিশ্ববাজারে সোনার দর বেড়েছে ৪ শতাংশ। ফলে প্রতি আউন্স সোনার মূল্য ছাড়িয়ে গেছে ১৯৫০ ডলারেরও বেশি। যার প্রভাবে দেশের বাজারে সোনার দর বাড়তে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে এমনটা নিশিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগারওয়াল।
স্বর্ণের মুল্যের এমন বৃদ্ধির কারন হিসেবে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন মার্কিন নির্বাচনের কারনে ডলারের মূল্য পড়ে যাওয়াতেই বেড়েছে সোনার মূল্য। তিনি বলেন, ‘’আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে একধরনের উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ডলারের দরপতন হয়েছে। এ কারণে হঠাৎ করে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার এটিই একমাত্র প্রধান কারণ।‘’
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য পর্যালোচনা করেও মিলেছে দাম বাড়তির তথ্য। যেখানে দেখা যায়, গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হয়েছে ১৮৭৮ ডলারে। সপ্তাহ শেষে সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫১ দশমিক ৫১ ডলারে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার মূল্য বেড়েছে ৭৩ ডলার। যা শতাংশের হিসেবে দাঁড়ায় ৩.৯৩ শতাংশ।
অন্যদিকে সোনার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে উত্থান ঘটেছে রুপার দামেরও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি প্রতি আউন্স রুপার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.০৬ শতাংশ। সবশেষ বৃদ্ধি হওয়া মূল্য অনুযায়ী প্রতি আউন্স রুপা বিশ্ব বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ দশমিক ৫৩ ডলারে। গত আগস্ট মাসের পর এই প্রথম ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেল রুপার দর।
দেশের বাজারে সর্বশেষ বাজুসের বেধে দেয়া মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম সোনার মূল্য ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। প্রতি ভরি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৩১৪ টাকা। অন্যদিকে ২১ ক্যারেটের এক গ্রাম সোনার মূল্য বেধে দেয়া হয়েছে ৬ হাজার ২৭৫ টাকা। যা এক ভরির হিসেবে মূল্য দাঁড়ায় ৭৩ হাজার ১৬৬ টাকা। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক গ্রাম সোনা হাতবদল হতে হলে ব্যয় করতে হচ্ছে ৫ হাজার ২২৫ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি প্রতি এক গ্রাম সোনার মূল্য বেধে দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৪০ টাকা। এক ভরি সনাতন পদ্ধতির সোনা ক্রয় করতে হলে গ্রাহককে ব্যয় করতে হবে ৫৪ হাজার ১০২ টাকা।