লাইফ সাপোর্টে নায়ক শাহীন আলম

হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলমকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন শাহীন আলমের সময়কার আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। যিনি বর্তমানে ভিলেন চরিত্রে বেশি অভিনয় করেন।

ওমর সানী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘শাহীন আলম আমার বন্ধু, একসঙ্গে পথচলা। অভিনয়েও অসাধারণ। দীর্ঘ সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছে না। একদম বাদ দিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগে কিডনিজনিত সমস্যার কথা শুনে ওকে দেখতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম ওর কিডনি দুইটাই বিকল। ডায়ালাইসিস করছে বেশ কিছুদিন যাবৎ।

গতকাল ওর ছেলে ফোন দিয়েছিল। শুধু বলল, আঙ্কেল বাবা লাইফ সাপোর্টে, করোনা পজিটিভ।’ সানী লিখেছেন, ‘নিজেকে কন্ট্রোল করতে কষ্ট হচ্ছিল। এমনিতেই কিডনি চিকিৎসায ব্যয়বহুল ব্যাপার, তারপর লাইফ সাপোর্ট। ওর ফ্যামিলি অনেক ভালো অবস্থায় আছে, কিন্তু এইভাবে খরচ হলে রাজার ভান্ডারও শেষ হয়ে যায়। সেটাই বলছিল শাহীনের ছেলে। কী করবো বুঝতে পারছি না। শুধু আল্লাহকে বলি, আল্লাহ তুমি সুস্থতা দান করো বন্ধুকে, ফিরিয়ে দাও।’

১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’। ১৯৯১ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। এর পরে আরো অনেক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ‘মন দিলাম প্রাণ দিলাম/আর কী আছে বাকি/ ও আমার কাজল পাখি/ ও আমার পরাণ পাখি’ ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ঘাটের মাঝি।’

টাইটেল গানটি জনপ্রিয় হয়ে যায়। এতে নায়ক শাহীন আলম বিপরীতে কুমকুম। রেডিওতে ‘অনুরোধের আসর গানের ডালি’-তে যে গানগুলো শুনতে চেয়ে শ্রোতারা চিঠি লিখত এ গানটি তার মধ্যে একটি। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার সময় অভিনয় থেকে দূরে সরে যান তিনি। চলচ্চিত্র ছেড়ে ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।