এবার বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলো কনে পক্ষ। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ও অতিথিদের নিমন্ত্রণের পাশাপাশি সবধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তবে যৌতুক হিসেবে পুরোনো আসবাবপত্র পাঠানোয় রাগ দেখিয়ে বিয়েই করতে এলেন না পাত্র। গত রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পাত্রপক্ষের সকলে বিয়েতে উপস্থিত হলেও বিয়ে করতে আসেননি বর। পরে পাত্রীর বাবা পাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। মূলত, কনের পরিবার যৌতুক হিসাবে পুরনো আসবাবপত্র পাঠিয়েছে বলে দাবি করে বিয়ে ভেঙে দেন পেশায় বাস চালক ওই পাত্র।
কনের বাবা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের (বরের) বাড়িতে যাওয়ার পর বরের বাবা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে টাকাপয়সা ছাড়াও বেশ কিছু আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিস দাবি করা হয়েছিল। বিয়ের আগেই তিনি তা পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিয়ে করতে আসেনি বর। এরপর তিনি পাত্রের বাড়িতে গেলে সেখানে বরের বাবা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
কনের বাবা বলেন, ‘তারা বলছে- যে জিনিসগুলো তারা চেয়েছিল তা দেওয়া হয়নি এবং আসবাবপত্রও পুরোনো। আর তাই তারা বিয়ে করতে আসতে অস্বীকার করে। আমি বিয়ের জন্য ভোজের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং সমস্ত আত্মীয়-স্বজন ও অতিথিদের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর তার বিয়েতে আসেনি।’
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বলেছে, বরের পরিবার যৌতুক হিসাবে অন্যান্য আইটেমের মধ্যে আসবাবপত্র আশা করেছিল। কিন্তু কনের পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র তাদের দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আর তাই বরের পরিবার সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে এবং বিয়ের দিন বর হাজির হয়নি।
এদিকে পুলিশের মতে, ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ও যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। সূত্র: এনডিটিভি