যে কারণে হাসানকে ৮ টুকরা করে লাগেজে ভরে স্ত্রী ও দুই ছেলে

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাটের কাছের সড়কে একটি লাগেজের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলো মো. হাসান নামে এক ব্যক্তির। তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে।

মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি বলছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী ও দুই ছেলে মিলে হাসানকে খুন করার পর মরদেহ ৮ টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে ফেলে দেয়। এরই মধ্যে পুলিশ হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার (২৩ সেপেটম্বর) নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকা থেকে একটি বস্তায় হাসানের মরদেহের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার করা হয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাটের কাছে সড়কের পাশে একটি লাগেজের ভেতর থেকে ওই খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাগেজের ভেতর মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের আটটি টুকরা ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই দিনই পতেঙ্গা থানায় মামলা করে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে খুন হওয়া ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর স্ত্রী ও ছেলেদের থেকে আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। কিন্তু এর মধ্যেই হাসানকে মৃত উল্লেখ করে তার ছেলে মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। এ ছাড়া আরও বেশকিছু জায়গায় হাসানকে মৃত বলেই দেখিয়েছিল পরিবার। ফলে হাসান ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও দুই ছেলে মোস্তাফিজুর এবং শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর মিলে বাবা হাসানকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেয়। ঘটনার পর শফিকুর রহমান পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।