যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বিজয়ী মুসলিম দুই নারী

আবারো মার্কিন কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী ৪১ বছরের ইলহান ওমর। সোমালিয় বংশোদ্ভূত এই মুসলিম নারী এ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলেন। এছাড়াও মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন আরো এক মুসলিম নারী রাশিদা তালিব। ইলহান ওমর খুব সহজেই প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ল্যাসি জনসনকে পরাজিত করেছেন।

তিনি তার নির্বাচনী এলাকা মিনেসোটা জেলায় ৯৭ শতাংশ ভোটারের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে মিনেসোটা রাজ্য সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ইলহান।

এছাড়া মিশিগানের ১৩তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে রিপাবলিকান প্রার্থী ডেভিড ডুডেনহোয়েফারকে হারিয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব।

জয়ের পর রাশিদা তালিব জানিয়েছেন, কংগ্রেসে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কোভিড-১৯ রোধে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেবেন এবং ফিলিস্তিনের মানবাধিকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখবেন।

আরও পড়ুন=জয়ের বি’ষয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মা’র্কিন প্রে’সিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা’ম্প। কিন্তু ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা গেল, তাকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফে’লে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এবার ভোট গণনায় কারচুপির আ’শঙ্কায় নেভাডার সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলো ডোনাল্ড ট্রা’ম্পের রিপাবলিকান পার্টি। তাদের দাবি, নেভাডার সব থেকে বড় কাউন্টি ক্লার্ক-এ ভোট গণনা স্থগিত রাখা হোরু গত সপ্তাহেই এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রিপাবলিকান। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আ’দালত। অ’ভিযোগ, ক্লার্ক কাউন্টি-তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যে ভোটগুলো দেয়া হয়েছে, তার সই মিলিয়ে দেখতে দেয়া হচ্ছে না নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের। যতক্ষণ পর্যবেক্ষকরা সেই প্রক্রিয়া সামনে থেকে দেখতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট গণনা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে রিপাবলিকানরা।

এ বছর ক’রোনা অতিমারির আ’শঙ্কায় বিপুল সংখ্যক মা’র্কিন নাগরিক মেল করে অগ্রীম ভোট দিয়েছেন আমেরিকায়। এই অগ্রীম ভোটের গণনায় কারচুপির আ’শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ট্রা’ম্প। ক্লার্ক কাউন্টিতেও মূলত এই মেল করা ভোটের গণনা পুদ্ধতি নিয়েই আপত্তি রিপাবলিকান পার্টির। তাদের আ’শঙ্কা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা গণনার ক্ষেত্রে গ’ন্ডগোল করতে পারেন। তাই গোটা প্রক্রিয়াটি আমজনতাকে দেখতে দেওয়া হোক। যে পদ্ধতিতে গণনা চলছে, তাতে স্বচ্ছতা থাকছে না বলে অ’ভিযোগ তোলা হয়েছে।