পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়িতে স্ত্রীর দাবিতে এক শিশু শিক্ষার্থীর মা অনশনে বসেছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ডাকাতিয়া খালগোরা গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অনশনে থাকা রাবেয়া বেগম (৩৫) বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর আগে মেয়েকে নিয়ে পূর্ব কালীকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় শিক্ষক মো. আবদুর রশিদের (৫০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে তিনি একাধিক বার গর্ভবতী হলেও তাকে গর্ভপাত করানো হয়। তাদের বিয়ের আকদ হলেও কাবিন হয়নি। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী তানিয়া বেগম জানান, ‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ মিথ্যা। তাকে ফাঁসাতে মূলত এ নারীকে দিয়ে এ নাটক করছে প্রতিপক্ষ।’
শিক্ষক রশিদের ভাবি মোরশেদা বলেন, তার দেবর আবদুর রশিদ তিন বিয়ে করছে। এই নারী সত্যি কথাও বলতে পারে। তার স্বভাব চরিত্র ভালো না। অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আবদুর রশিদ বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ওই নারী আমার নামে ধর্ষণ মামলা করছে। যা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে।
এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদ্য সাইদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ দুটি বিবাহ করছে। তার যে স্বভাব তাতে আমরা ভাবতে পারি অনশনে থাকা রাবেয়া সঠিক আছে। আবার প্রমাণ না থাকায় আমরা কিছু বলতে পারছি না।