মাহফিলের খিচুড়ি বিতরণ নি‌য়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর

মাহফিলের খিচুড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গজারিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফজরের নামাজ চলাকালীন সময়ে আলীনগর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গজারিয়া গ্রামের অভিযুক্ত আমির হোসেনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ পাশের গ্রামের মিজান চোকদারের বাড়িসহ প্রায় ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ব্যাপক লুটপাটও করে।

এর আগে রেজাউল ফকিরের আয়োজনে ২০ শে জানুয়ারি একটি দরবার শরীফের মাহফিল গজারিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। সেই মাহফিলে খিচুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সেচ্ছাসেবী মিজান চোকদারের সঙ্গে একই গ্রামের আমির হোসেন বেপারীসহ তাদের লোকজনদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা হয় কিন্তু হঠাৎ অভিযুক্ত আমির হোসেন বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ বেপারী তাদের দলবল নিয়ে মাহফিলের সেচ্ছাসেবী মিজান চোকদারসহ সব সেচ্ছাসেবীর বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

ভুক্তভোগী মিজান জানান, ‘আমির হোসেন বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ বেপারী তাদের দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। টাকাগুলো আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য রেখেছিলাম।এছাড়া আমার ৭টি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি লুট করে নিয়ে যায়।’আরেক ভুক্তভোগী হাশমত আরা বেগম বলেন, আমির বেপারীর নেতৃত্বে আমার সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে তারা।ঘরের ভেতরে কিছুই নেই আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত আমির বেপারীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না। প্রতিপক্ষ আমাদের বসতঘর ভাঙচুর করেছে।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।