মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল করার ঘোষণা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ চালুর মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় ৭৫টি বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম উন্নত দেশ মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন হবে প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল হাইকমিশন। যার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে কোন স্থান থেকেই সংযুক্ত হয়ে এই সেবা নিতে পারবে।অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেবার সব ধরণের প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবেন তারা। এর মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার দূতাবাস হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল দূতাবাস।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারওয়ার।স্থানীয় সময় রোববার (৭ মার্চ) সকাল ১০টায় কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় প্রথম অধিবেশন। এরপর মহান মুক্তিযোদ্ধে শহীদদের আত্মার উদ্দেশ্যে এবং দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

২য় অধিবেশনের আলোচনা সভায় উপস্থিত সকলকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি বড় পর্দায় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়।এসময় সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের ওই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে স্বাধীনতার এবং সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লাখো জনতার মাঝে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বিশাল জনসমাবেশে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, দেশে ছুটিতে গিয়ে যে সকল প্রবাসী আটকে আছেন তাদেরকে মাই ট্রাভেল পাস এ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।তবে এটি নির্ভর করছে সম্পূর্ণ নিয়োগকর্তার উপর। এজন্য সবাইকে যার যার নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন হাইকমিশনার।এছাড়াও মালয়েশিয়ার পোস্ট লাজুর মাধ্যমে এ মাসের মাঝামাঝি থেকে পাসপোর্ট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে হাইকমিশন প্রতিনিয়ত প্রবাসীদের সেবা-দানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান রুহুল অমিনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের উপ হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং শ্রম কাউন্সেলর মো. জহিরুল ইসলাম।এ সময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ, শ্রম শাখার কাউন্সেলর (২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, কাউন্সেলর মাসুদ হোসাইন,

পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সেলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার, বাণিজ্য শাখার কাউন্সেলর মো. রাজিবুল আহসান, দূতাবাসের কাউন্সেলর তাহমিনা ইয়াছমিন, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।