কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে আশিক মিয়া নামে এক চা বিক্রেতা মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আশিক পৌরশহরের গাছতলাঘাট এলাকার মৃত কাদির মিয়ার ছেলে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের দাবি, মঙ্গলবার পুলিশে ছোড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে মারা যান আশিক। তিনি আমাদের ভৈরব পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানাই।
তবে আশিকের বোন জামাই সহিদ মিয়ার দাবি, আশিক কোনো দলের রাজনীতিই করে না। চায়ের দোকান নিয়েই সারাদিন পড়ে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলে আশিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। আর্থিক সংকটের কারণে আশিককে বাজিতপুর ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সহিদ আরও বলেন, আশিক হার্টের রোগী ছিলেন। টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টায় তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, হার্টের অসুস্থতা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে এখানে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ঢাকা রেফার করা হয়েছিল।
স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন চা বিক্রেতা আশিক। তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলিয়ারচর সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, টিয়ারশেলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা জানা নেই। যদি এমন কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তা চিকিৎসকের দেওয়া প্রতিবেদনে জানা যাবে।