ভিপি নুর-মামুনদের গ্রে’ফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ধ’র্ষ’ণ মা’মলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে মা’মলার বাদী ফাতেমা বিথী। বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের গ্রে’ফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

নুরদের গ্রে’ফতারের দাবিতে ফাতেমার চলমান ১১ দিনের অবস্থান কর্মসূচির শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এদিকে, ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসানকে ৩ দিনের ও নাজমুলকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মা’মলায় বৃহস্পতিবার আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন। উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা বাদী হয়ে নূরসহ অন্যদের বি’রুদ্ধে ধ’র্ষ’ণ মা’মলা করেন। নুর ছাড়া মা’মলার অন্য আসামিরা হলেন-

হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এদের মধ্যে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ধ’র্ষ’ণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ছাত্রী মা’মলার অ’ভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ‘হাসান আল মামুন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই।বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবাদে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। নিজ বিভাগের সিনিয়র হওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়।

সেখানে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জ, মসজিদ রোড, ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলে। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধ’র্ষ’ণ করে সে।’ অ’ভিযো’গে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।১২ জানুয়ারি আমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মামুনের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মামুন ও সোহাগ তা হতে দেয়নি।

এর আগে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে রাজি হয়, কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর সে নানা টালবাহানা শুরু করে।’ ওই ছাত্রী অ’ভিযো’গে বলেন, ‘উপায় না দেখে ২০ জুন বিষয়টি ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানাই। সে বলে মামুন আমার পরিষদের, আমার সহযো’দ্ধা। তার সঙ্গে বসে একটা সুব্যবস্থা করে দেবো।

এরপর ২৪ জুন মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে নীলক্ষেতে দেখা করতে আসেন। কিন্তু মীমাংসার বিষয়টি এড়িয়ে আমাকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। আমি যদি বাড়াবাড়ি করি তাহলে তার ভক্তদের দিয়ে ফেসবুকে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করাবে এবং আমাকে পতিতা বলে প্রচার করবে বলে হু’মকি দেয়।

তাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ১.১ মিলিয়ন সদস্যের গ্রুপে এ প্রচারণার হু’মকি দেওয়া হয়। নুর আরও জানায়, তার একটি লাইভে আমার সব সম্মান চলে যাবে। ইতোমধ্যে মা’মলার চার নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম আমার নামে কুৎসা রটিয়েছে এবং ৫ ও ৬ নম্বর আ’সামিকে লাগিয়ে দেয় কুৎসা রটাতে।তারা ম্যাসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করাসহ সম্মিলিতভাবে চক্রান্ত করে।’ ফাতেমা নুরকে আসামি করে ওই মা’মলা করার পরদিন আরও একটি মা’মলা করেন।