বিছানার রক্ত পরীমণির নয়, তবে কার? জানা গেল নতুন তথ্য

বিছানায় রক্ত; এক স্ট্যাটাসে এমনই ছবি পোস্ট করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি। এরপর থেকে বাসায় রক্তারক্তি কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন জমেছে এখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এ নেটিজেনদের মনে। কারণ এই ছবির সঙ্গে যে তথ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে তা আরও রহস্য বাড়িয়েছে। পরীমণি-রাজের বাসার ব্যবস্থাপক সংবাদমাধ্যমকর্মীদের বলছেন, পরীমণি যে রক্তের কথা বলছেন, সেটা আদতে অ্যাকুয়ারিয়াম ভেঙে দুর্ঘটনা

ঘটেছে। পরীমণি-রাজ দম্পতির বিষয়ে, নিরপত্তা প্রহরীরা একেবারে নিশ্চুপ। এত কড়াকড়ির মধ্যেও মধ্যবয়সী একজন কাছে এসেই জানান তিনি ব্যবস্থাপক। বললেন, ‘অনেকে ভেবেছেন, পরীমণি রাজকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন- বিষয়টি তা নয়। অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে গিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে। রাজ নিজেই অ্যাকুয়ারিয়াম সরাচ্ছিলেন। সেটি পড়ে ভেঙে রাজের হাত কেটে গেছে। ওই সময় রাজ্যও তো পাশে ছিল। ’রক্ত প্রসঙ্গে

কথা বলার আগে বললেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই যেমন ঝগড়া হয়, এটি তেমনই। অনেক মিলতালও দেখি তাদের মধ্যে। হঠাৎ করে কী যে হলো, বুঝতে পারলাম না! এই বাসায় মিডিয়াকর্মী প্রবেশে বেশ কড়াকড়ি। এ কারণে বাসায় মিডিয়ার মানুষ আসছেন না। ’নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রবিবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি

পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন নায়িকা। তিনি লেখেন—‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন। ’এর মাঝে রবিবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে আবার পরীমণি তার নতুন স্ট্যাটাসে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।এদিকে পরীমণির এই চলে যাওয়ার পেছনে গডফাদারের ইন্ধন দেখছেন শরীফুল রাজ। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে শরীফুল রাজ একটি ফেসবুক

পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ।আই লিভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স। ’ এর অর্থ কী? এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো গডফাদার রয়েছেন? নাকি শরীফুল রাজ কোনো গডফাদারের হুমকি পেয়েছেন? চলচ্চিত্রে এমন ঘটনা নিত্যই ঘটে। অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যুর পেছনেও গডফাদারের হাত রয়েছে বলে এখনো অনেকে মনে করেন!