আগের বছর ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়া রানু মন্ডল এ কথা নিশ্চয়ই আপনাদের এখনো পর্যন্ত মনে আছে? অবশ্য মনে থাকারই কথা । রানাঘাট স্টেশন চত্বরে ভিক্ষা করে দিন কাটাতো এই রানু মন্ডল । ভিক্ষা করে যা কিছু উপার্জন করতো তাতে কোনরকমে দিন চলে যেত এ রানু মন্ডলের। কখনো কখনো থাকতে হতো খালি পেটে । কিন্তু তার সম্বল বলতে ছিল শুধুমাত্র তার গানের গলা ।
এবং সেই গানের গলা তাকে তুলে ধরেছিল পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। সেরকমই হঠাৎই একদিন বাকি পাঁচটা দিনের মতন সেদিন ছিল সাধারণ দিন । রানু মন্ডল গান ধরলেন এক পেয়ার কা নাগমা হে ।ভগবান এর দূত হিসাবে পাশে থাকা এক পথে যাত্রী সেটিকে ক্যামেরাবন্দি করলেন ।যার নাম অতীন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এবং তিনি সেটি ফেসবুকে শেয়ার করেন ।
মুহূর্তের মধ্যে ঝ’ড়ে’র গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও ।এবং রানু মন্ডল সরাসরি রানাঘাট স্টেশন থেকে পৌঁছে যায় একদম মুম্বাই এ । সেখানে সে হিমেশের সাথে একটি গান ডুয়েট করেন । এবং আগের বছর এ হেন এমন কোনো পুজো মণ্ডপ নেই যেখানে বাজেনি রানু মন্ডল এর তেরি মেরি কাহানি । তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে শোনা কি অবস্থা খুব শো’চ’নী’য় ।
আগে স্থানে পৌঁছেছে নাকি তিনি। ভি’ক্ষা করে নাকি দিন কাটাচ্ছেন আবার। এ ব্যাপারে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি ।এবং তার সাথে তুলে ধরেছেন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ।সাংবাদিকরা তাকে তার মেয়ের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান যে তার মেয়ের মায়ের কথা মনে পড়ে না। এর পাশাপাশি সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে।
তিনি বলেন তিনি কোনদিন পড়াশোনা করেননি। হিন্দি এবং ইংরেজি যেটুকু শেখা সেটা বোম্বে গিয়ে রপ্ত করেছেন । তারপর উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেটার অপেক্ষায় ছিল হাজার হাজার দর্শক। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হয় রানু মন্ডল এর অ’হং’কা’র নিয়ে। এবার তিনি করলেন সেই বিষয়ে বি’স্ফো’র’ক
ম’ন্তব্য।তিনি বলেন যে একদল মানুষ সরলতাকে অ’হং’কা’র ভাবে। আদতে তার কোন অ’হং’কা’র নেই। তার দু’র্ব’ল’তাকে মানুষ অ’হং’কা’র ভাবে ।সোশ্যাল মিডিয়াতে তার সম্পর্কে মি’থ্যা র’টনা হচ্ছে। পরিবারের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি এ ব্যাপারে । তবে আপাতত রানু মন্ডল রেডিওতে গান শুনে মাঝেমধ্যেই পুরনো ছন্দে গু’নগু’ন করে ওঠেন।