রাজধানীর ফার্মগেট ফুটওভা’র ব্রিজের নিচে এক নারী ফুটফুটে সন্তান প্রসব করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন ঠিক তখনই একজন পথচারী মহিলা সহায়তায় সন্তান প্রসব করেন তিনি।
তার কিছুক্ষণ পরই টিভি’র ক্যামেরাপার্সন জাহিদুল ইস’লামের ক্যামেরায় ধ’রা পরে মা ও নবজাতকের এক অন্য রকম দৃশ্য। সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগে শেয়ার করেন জাহিদুল।
সেখানে তিনি লিখেন- এই পথে থাকা মা আর কি সুন্দর ফুটফুটে শি’শুটি। তাদের প্রয়োজন চিকিৎসার। কিন্তু পথে থাকা পরিবারটি চিকিৎসা কিভাবে করাবেন, এজন্য কিছু সহায়তা করতে চাইলাম। কিন্তু শি’শুটির বাবা নিতে চাইলেন না। তার সন্তান তিনিই দেখবেন কারও সাহায্যে চান না, অনেক বুঝিয়ে তাকে কিছু টাকা দিলাম।ফুটপাতে বসবাস করা এই মানুষগুলোর দিকে বিত্তশীলদের মানবিক হাত বাড়িয়ে দেবার অনুরোধ করেন সাংবাদিক জাহিদুল।
আরও পড়ুন=মামুন আর সোহাগ দুই ভাই। একজনের বয়স দশ ও অন্যজনের ছয়। এ বয়সে লেখাপড়া, খেলাধুলা কিংবা আদর-যত্নে বেড়ে ওঠার কথা থাকলেও তা জোটেনি দুই ভাইয়ের কপালে। দুই বেলা খাবার জোগাড়ে পান-সিগারেটের ডালা নিয়ে হাঁটছে মাইলের পর মাইল।কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কাইততলা এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুম কয়েক বছর আগে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন চট্টগ্রাম নগরীতে। বছরখানেক আগে দুই সন্তান মামুন ও সোহাগকে রেখে মারা যান মা তাসলিমা বেগম। বর্তমানে বিআরটিসি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় দুই সন্তানকে নিয়ে থাকছেন মাসুম। তিনিও পান-সিগারেট বিক্রেতা।
রাত পেরিয়ে সকাল হলেই শুরু হয় বাবা ও সন্তানদের জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা। বিআরটিসি থেকে শুরু হয়ে বাবার গন্তব্য একদিকে, সন্তানদের অন্যদিকে। পান-সিগারেটের ডালা গলায় ঝুলিয়ে নগরীর অলিগলি ঘুরে বেড়ানো মামুনের সঙ্গেই থাকে ছোট ভাই সোহাগ। কখনো ভাইয়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটু এদিক-ওদিক ঘুরে নেয়। আবার ভাইয়ের পাশে ছুটে আসে। মামুন গলা ছেড়ে বলে- পান, সিগারেট…। তাকে অনুসরণ করে সোহাগও বলে- পান, সিগারেট