প্রধানমন্ত্রীর তামাশার হিংসাবৃত্তে আটকা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

প্রধানমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর তামাশার হিংসাবৃত্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা আটকে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেছেন, এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান শক্তি জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কয়েকদিন আগে আইনমন্ত্রী রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার ৩-৪ দিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বেগম জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে প্রথমে জেলে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে।’ আজ দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনে আইনমন্ত্রী যে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত দোসর হবেন এটাই স্বাভাবিক।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন, বেঁচে থাকা এবং উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সব কিছু প্রধানমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রীর তামাশার হিংসাবৃত্তে আটকে রাখা হয়েছে। দেশে এখন চলছে জয় বাংলার আইন। এ আইনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। অপপ্রচার, অসত্য ও বানোয়াট কাহিনীর কুৎসিত প্রচারণা চালানোর পরও দেশনেত্রীর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে তার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদায় চিড় ধরাতে না পেরে শেখ হাসিনা আক্রোশের নানামুখী প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন।

এজন্য তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রেখেছেন। এখন তার উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিয়ে দুনিয়া থেকে সরানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন।তিনি বলেন, এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান শক্তি জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। বহুদলীয় গণতান্ত্রিকরীতি সমাধিস্থ করে কতৃর্ত্ববাদের নতুন আদর্শ, নতুন ভাবধারা ও নতুন নতুন রচিত নীতির মাধ্যমে দেশবাসীকে নির্বাক করে বন্দি করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জনগণ পথে পথে অবরোধ করবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। জনগণ এ সিদ্ধান্ত ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।রিজভী বলেন, মূলত মার্কিন ভিসা নীতি টেনশনে ফেলেছে শেখ হাসিনাকে। নির্বিঘ্নে দুঃশাসন চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতৃর্ক ভিসা নীতি ঘোষিত হওয়ায় শেখ হাসিনা স্নায়বিক প্রতিক্রিয়ায় বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। লুণ্ঠন, সম্পদপাচার, পুঁজিপাচার, সরকারঘনিষ্ঠ ধনাঢ্যদের বিদেশে ‘অবৈধ স্বর্গ’ গড়ে তোলা হয়েছে। সেটি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীরও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।