নিজেই করলেন শ্লী’লতাহা’নির মামলা, পরে আসামিকে ছাড়াতে তরুণীর কাণ্ড !

পুলিশের সঙ্গে কথা কা’টাকা’টির একপর্যায়ে সড়কে শুয়ে পড়া। কিছুক্ষণ পরপর গড়া’গড়ি। আবার শুয়ে থাকার ভান। কিছুক্ষণ পর উঠে হাঁ’টাহাঁ’টি, আবার রাস্তায় ঘুমের ভান। সড়কে এক তরুণীর এমন অ’দ্ভুত দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায় আশপাশে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিরাপত্তা দিতে ঘিরে ফেললেন চারজন নারী পুলিশ।

রোববার (১ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলের সেগুনবাগিচা রোডের রমনা মডেল থানার বাইরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। রমনা থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজেকে মডেল ও অভিনেত্রী পরিচয় দেয়া ওই তরুণী সিদ্ধেশ্বরী এলাকার মৌচাক মা’র্কেটের পাশে থাকা এক ছেলের বি’রুদ্ধে শ্লী’লতাহা’নির মা’মলা করেছেন। মা’মলার অ’ভিযোগে তিনি লিখেছেন, ছেলেটি নানা প্র’লোভ’ন দেখিয়ে তার শ্লী’লতাহা’নি ক’রেছেন।

তার অভি’যোগের ভিত্তিতে ছেলেটিকে গ্রেফ’তার করে রমনা থা’না পু’লিশ। ছেলেটিকে থা’নায় নিয়ে আসার পরপরই ঘটে অদ্ভুত ঘ’টনাটি। রোববার দুপুরে আ’সামি ছেলেকে গ্রে’ফতারের পর থা’নায় আ’সেন তিনি। ছেলেটির কাছ থেকে টাকা আদায় করে দিতে পুলিশের কাছে আবদার করেন। তবে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, ‘মা’মলা হয়েছে, আসা’মিও ধরা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আ’দালতের।’

পুলিশের কথায় মন গলেনি তার। তরুণীর দাবি, গ্রে’ফতার নয় বরং তাকে মোটা অং’কের টা’কা আদায় করে দিতে হবে পুলিশকে। একপর্যায়ে পুলিশ রা’জি না হলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খা’রাপ ব্যবহার করেন তিনি। রাস্তায় শুয়ে পু’লিশকে গা’লিগা’লাজ করেন। পরে নিজ জি’ম্মায় আ’সামিকে থা’না থেকে নিয়ে যান।

ঘ’টনার বিষয়ে রমনা থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা মেয়েটির অ’ভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিই। আসামি ধরার পর তিনি থা’নায় এসে বলেন, আসা’মিকে ছেড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি আ’সামি থেকে টাকা আদায় করে দিতে হবে। তবে আমরা সাফ জানিয়ে দিই যে, টাকা আদায়ের কাজ পুলিশের নয়।’

‘একপর্যায়ে রাতে ওই তরুণী রাস্তায় শুয়ে সি’নক্রি’য়েট করেন। রাত ১টার সময় নিজ জিম্মায় ওই আ’সামিকে থা’না থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’ মামলা সূত্রে জানা গেছে, নানা প্রলো’ভনে ওই তরুণীকে ২০১২ সাল থেকে শ্লী’লতাহা’নি করে আসছেন ওই ছেলে। এ বছরও একবার শ্লী’লতা’হানি করেছেন। তবে এই দীর্ঘ আট বছর কেন তিনি শ্লী’লতা’হানির মা’মলা ক’রেননি, এ বিষয়ে পু’লিশকে কোনো সদুত্তর দি’তে পারেনি মেয়েটি।